কুয়ালালামপুর: কুয়ালালামপুরের সিলানগরের আকাশচুম্বী পাহাড় ঘেঁষে বাজু কেভ (মন্দির)। পাথরের পাহাড় ও প্রাকৃতিক গাছপালা যেন অকৃত্রিম মমতা দিয়ে এ মন্দিরকে জড়িয়ে রেখেছে।
প্রতিদিন কয়েক হাজার ভ্রমণপিপাসু ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সমাগম ঘটে এখানে। নির্মিত হয়েছে সোনালি রংয়ের ১৪০ ফুট উঁচু মুরাগন মন্দির। এ মন্দিরের পাদদেশে আবার হাজারের বেশি কবুতর সমতলে ঘুরে ফেরে।
এখানে আসা সবাই কবুতরগুলোকে ভালোবেসে বিভিন্ন ধরনের খাবার দিয়ে থাকেন। কবুতরগুলোও আগতদের ভালোবাসা ও বিনোদন দেয়।
কেউ কবুতরগুলোকে চানাচুর বা ছোলা দিলে কবুতরগুলো তাদের শরীর স্পর্শ করে এক ধরনের আনন্দ দিয়ে থাকে। আর কবুতরের ছোঁয়া পেয়ে আনন্দে উদ্বেলিত হন আগত দশনার্থীরা।

undefined
জাকার্তা থেকে বাজু কেভে এসেছেন আদ্রিয়া ও তাইয়া। সঙ্গে রয়েছে একমাত্র কন্যা কাঞ্চি। আদ্রিয়ান ও তাইয়া দম্পতি কবুতরগুলোকে খাবার দিচ্ছেন। আর কাঞ্চি কবুতরগুলোর ডানাঝাপটা উপভোগ করছে।
সমতল থেকে ২৭২ সিঁড়ি উঁচুতে বাজু কেভ। জীবনের চাওয়া-পাওয়া পূরণের জন্য হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এখানে আসেন।

undefined
এখানে আসা কয়েকজন জানান, সম্পদ, সন্তানের জন্য এসেছি। বিপদ থেকে মুক্তিসহ বিভিন্ন ধরনের চাওয়া-পাওয়ার জন্যও এসেছেন অনেকে।
সিঙ্গাপুর থেকে বাজু কেভে এসেছেন কার্তিক ও সুপমা দম্পতি। এদের প্রায় ১০ বছর ধরে কোনো সন্তান হচ্ছে না।

undefined
২৭২ সিঁড়ি পেরিয়ে বাজু কেভে যাওয়ার জন্য দর্শনার্থীদের ৫ রিঙ্গিত দিতে হয়। বাজু কেভে কথা হয় কার্তিকের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সন্তানের জন্য ভগবানের আশীর্বাদ পেতে এসেছি।
গণেশের মূর্তিসহ আরো দু’টি মন্দির রয়েছে বাজু কেভে। একটি মন্দিরে আশপাশে বানর খেলা করে। দর্শনার্থীরা কবুতরের মতো বানরগুলোকেও খাবার দিয়ে এক ধরনের আনন্দ পান। এখানের বানরগুলো অনেক সাহসী, দর্শনার্থীদের শরীর স্পর্শ করতেও ভয় পায়না বানরগুলো।

undefined
পাথরের পাহাড় ও বৃক্ষরাজি ঘেরা বাজু কেভ দর্শনার্থীদের কাছে এক দর্শনীয় স্থান। তাইতো হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ দর্শনার্থীরা এখানে ছুটে আসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৪