ঢাকা: মালয়েশিয়ায় সুন্দর জীবন গড়তে আর অবৈধ প্রবেশ নয়। শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে আপনিও নিয়ম মেনে পেতে পারেন মালয়েশিয়ার নাগরিকত্ব।
মালয়েশিয়ায় ভিসার ধরনগুলো সর্ম্পকে জানলে এবং প্রক্রিয়া মেনে চললে, আপনিও পাবেন মালয়েশিয়ায় সন্মানজনক সব ভিসা।
দালালদের মাধ্যমে প্ররোচিত হয়ে ডিগ্রি বা স্নাতক সম্পন্নরাও অনেক সময় ট্যুরিস্ট ভিসায় প্রবেশ করছেন মালয়েশিয়ায়। মাস ঘুরতেই হয়ে পড়ছেন অবৈধ। এরপর ইমিগ্রেশন পুলিশের হয়রানিতে যেতে হচ্ছে জেলখানা পর্যন্ত। অথবা ঘুষ দিয়ে থাকতে হচ্ছে সেখানে। দালালদের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারাতে হচ্ছে অনেককেই। রঙ্গিন কথায় বিভোর হয়ে মালয়েশিয়া পৌছে দেখা যাচ্ছে, সেখানে ব্যবসা বা চাকরির সুযোগ রয়েছে, কিন্তু প্রক্রিয়াগত জ্ঞানের অভাবে শুরু করা যাচ্ছে না।
অথচ বৈধভাবে বিজনেস রেসিডেন্স ভিসা নিয়ে আপনি শুরু করতে পারেন ব্যবসায়িক জীবন। ক্যাটাগরি-১ ভিসা নিয়ে সেখানে বসবাস করতে পারেন নিশ্চিন্তে। ভাল পয়েন্ট উঠিয়ে পেতে পারেন নাগরিকত্ব।
আপনি কি স্নাতক বা ডিগ্রি পাশ? আর ভাবছেন বাকি জীবনের শুরু হবে মালয়েশিয়াতেই। তবে অবৈধ পন্থার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন।
নিজের স্বাক্ষরকৃত জীবনবৃত্তান্ত, শিক্ষাজীবনের সব সার্টিফিকেটের ফটোকপি, কাজের অভিজ্ঞতা, পরিবারের বিস্তারিত (স্ত্রী এবং সন্তানদের) বিবরণ তৈরি করে নিন। বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে, শুধু স্নাতক বা ডিগ্রিধারী সম্পন্নরাই এ ক্ষেত্রে আবেদন করতে পারবেন। সুতরাং এ দুটি পরীক্ষার যে কোনো একটির সার্টিফিকেটের ফটোকপি অবশ্যই জমা দিতে হবে আপনাকে।
সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের ৬ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং এছাড়াও পাসপোর্টের সব পাতার ফটোকপিও করে নিন।
স্থানীয় কমিশনারের স্বাক্ষরকৃত চারিত্রিক সনদপত্র সংগ্রহ করুন। এছাড়াও দেশের ব্যাংক একাউন্টের স্টেটমেন্ট এবং স্থানীয় টেলিফোন বা কারেন্টের ইউটিলিটি বিল নিয়ে যোগাযোগ করুন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ কনসালট্যান্ট অ্যাডভোকেট রাজু আহমেদের (পিএইচডি) সঙ্গে।
মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্ট অ্যাড. রাজু আহমেদ বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ, ব্যাবসায়ী, উচ্চস্তরের চাকরিজীবী, শিল্পী, আমলাদের ভিসা সহায়তা দিয়ে আসছেন মালয়েশিয়া থেকে।
অ্যাড. রাজু বলেন, ক্যাটাগরি-১ ভিসাধারী ব্যক্তি মালয়েশিয়ায় নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই গাড়ি এবং বাড়ির জন্যে লোন নিতে পারবেন। সুতরাং সেখানে বাড়ি কেনার সুবিধাতো থাকছেই। নিজ সন্তানদের মালয়েশিয়ার সরকারি স্কুলেই পড়াশোনা করানোর সুযোগও রয়েছে।
সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এ ভিসাধারী ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যেই পি.আর. (পারমানেন্ট রেসিডেন্স) এর আবেদন করতে পারবেন। আর ব্যাংক স্টেটমেন্টসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ১০০ তে ৬৫ বা তার বেশি পয়েন্ট উঠাতে পারলে ভিসাধারী সহজেই পেয়ে যাবেন নাগরিকত্ব।
ক্যাটাগরি-১ ও বিজনেস রেসিডেন্স ভিসা সর্ম্পকে জানতে এবং করণীয় সর্ম্পকে খোঁজ নিতে www.wwbmc.com এ ভিজিট করুন অথবাadvahmed@outlook.com এবংRaju.advocate2014@gmail.com মেইলে প্রশ্ন করে জেনে নিতে পারেন বিস্তারিত। যোগাযোগ করতে পারেন, +60168123154, +60143300639 মোবাইল নাম্বারে। ফেসবুকে Advocate Raju Ahmed এবং স্কাইপ আইডি Advocate Raju Ahmed PhDতেও যোগাযোগ করতে পারেন।
ব্যবসায়ী রেসিডেন্স ভিসা সর্ম্পকে অ্যাড. রাজু বলেন, ব্যবসায়ী রেসিডেন্স ভিসার জন্যে কোম্পানি লাইসেন্স প্রয়োজন হয়। এ লাইসেন্স পেতে প্রার্থীর নামে ট্যাক্সের রেজিস্ট্রেশন করে দিতে হয় ফার্মকে। অনুমোদিত কোম্পানির মাধ্যমেই সরকারি দপ্তর থেকে লোকাল কোম্পানির লাইসেন্স নিতে হবে।
এছাড়াও ল-ইয়ার কোম্পানি এবং জয়েন্ট স্টক কোম্পানির অ্যাপ্রুভালও নিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব থাকে ফার্মের ওপর। সব কাগজপত্র ঠিক থাকলে ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যেই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। কাগজপত্র ঠিক হয়ে গেলে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন অফিস কনসালট্যান্সি ফার্মের মাধ্যমে প্রার্থীকে তলব করে। তখনই মালয়েশিয়া পৌঁছে ইমিগ্রেশনে যেতে হয় প্রার্থীকে। মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন অফিসে ১ ঘণ্টার মধ্যেই ভিসা হাতে দেওয়া হয়।
ড. রাজু বলেন, অন্যায়ের আশ্রয় না নিয়ে সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কাগজপত্র দাখিল করলে কোনো প্রার্থীর আবেদনের ফাইল রিজেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এক্ষেত্রে সততা বড় বিষয়।
তিনি বলেন, ভালো ফার্ম মূলত মালয়েশিয়ার হালনাগাদ কাগজপত্র বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে অনুমোদন নিয়ে বাংলাদেশি প্রার্থীদের রেসিডেন্স অনুমোদন সেবা দেওয়ার কাজে লাগায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৫