মালয়েশিয়া: ক্যান্টনিজ কাহিনী অবলম্বনে রচিত মঞ্চ নাটক ‘তাই-লয়ফা’ বা সুগন্ধে আত্মসমর্পণে অভিনয় করে নজর কেড়েছেন মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি সায়দুজ্জামান খোকন।
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব চায়নিজ থিয়েটার অ্যান্ড আর্টসে (নাকটা) অসাধারণ অভিনয়ে তিনি মুগ্ধ করেন দর্শকদের।
সায়দুজ্জামানের (ডাকনাম খোকন) জন্ম নরসিংদীর রাইপুরা থানার টকিপোড়া গ্রামে। বাবা আবু হোসেন ও মা সৈয়দা শরিফা। কলেজে পড়ার সময় থেকেই শিল্পকলা, নাটক ও সংগীতে ঝোঁক ছিলো তার।
এইচএসসির পর চারুকলায় ভর্তি হতে না পেরে পাড়ি জমান মালয়েশিয়ায়। ভর্তি হন মালয়েশিয়ার নামকরা মালয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে থিয়েটার বিভাগে। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
শিখেছেন মালয়েশিয়ার জনপ্রিয় বাংসা ওয়ান, মাকে ওয়ান, পাপেট শো, ওয়েনং কুলি, মাকিয়ং নৃত্য। প্রধান শিক্ষক তার পারফর্মে খুশি হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চীনের বেইজিংয়ে যাওয়ার জন্য নাম প্রস্তাব করেন। নাট্যকলা ডিপার্টমেন্টে একমাত্র বাংলাদেশি শিক্ষার্থী তিনি।
গতমাসে সতীর্থদের সঙ্গে দীর্ঘ একমাস কঠোর অনুশীলনের পর নাকটার প্রধান মঞ্চে নাটক পরিবেশন করে সবার নজর কাড়েন তিনি। বেসিক মুভমেন্ট, স্টেজ ফাইটিং, মেকআপ ও কস্টিউম- সবগুলো বিভাগেই শীর্ষে ছিলেন তিনি।
বেইজিং থেকে ফিরে আসার পর কথা হয় খোকনের সঙ্গে। তিনি জানান, নাট্যকলায় ভর্তির আগে অনেকে অনেক কিছু বলেছেন। যখন মালয়েশিয়ায় নাট্যকলায় ভর্তির সিদ্ধান্ত নেই, তখন সময়টা কঠিন ছিলো। তবে মন থেকে বলি, এদেশে সবাই নিজ দেশের সংস্কৃতির পাশাপাশি অন্য দেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে অনেক গুরুত্ব দেয়। তাই অনেক কিছু শিখতে পেরেছি আমি।
পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরে চিত্রনাট্য নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা খোকনের। ভালো মানের ছবি নির্মাণ করতে চান তিনি। এছাড়া শিশুদের নিয়ে একটা থিয়েটার করার ইচ্ছা তার।
বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগরে অনেক চর্চা হয়। সম্মিলিতভাবে কিছু করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৫
এএ