বুকিত বিনতাং, কুয়ালালামপুর (মালয়েশিয়া) থেকে: লম্বা টেবিল। দু’পাশে সারিসারি চেয়ার।
মনে হবে- উৎসব বা পার্বণে দাওয়াত করে আপ্যায়ন করা হচ্ছে।
আসলে সবাই আপ্যায়িত হচ্ছেন ঠিকই। তবে তার বিনিময়ে মূল্য পরিশোধ করতে হচ্ছে। আর এভাবেই অতিথিদের পাশে গিয়ে যিনি খোঁজ খবর রাখছিলেন তার নাম তানিয়া রহমান (৩০)।
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলারা গ্রামের আক্কেল আলী হাওলাদারের মেয়ে তানিয়াই এখন সামলাচ্ছেন মালয়েশিয়ার জনপ্রিয় বাংলা খাবারে রেস্তোরাঁ ‘রসনা বিলাস’।
কুয়ালালামপুরের প্রাণকেন্দ্র বুকিত বিনতাং-এ চার বছর আগে এস এম রহমান পারভেজ ও পেয়ার আহমেদ আকাশের যৌথ উদ্যোগে গড়ে ওঠে এই রেস্তোরাঁটি।
‘প্রকৃত বাংলার স্বাদ’ এই তাদের অঙ্গীকার। আর সুস্বাদু খাবার রসনা বিলাসের নিরন্তর চেষ্টা। দুইয়ের প্রয়াসে অল্প দিনেই রেস্তোরাঁটি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে ভোজন বিলাসীদের কাছে।
নানা বর্ণ, ধর্ম, সংস্কৃতির মানুষের দেশ মালয়েশিয়া। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কেন্দ্রে অবস্থিত দেশটিতে নানা কাজে আসে প্রবাসী বা পর্যটক। সবার কাছে ভোজন বিলাসের ঠিকানা হয়ে ওঠে ‘রসনা বিলাস’।
গত জুন মাসে অংশীদারিত্ব নিয়ে মতদ্বৈততার জেরে পেয়ার আহমেদ আকাশ অন্যত্র একই নামে আরেকটি রেস্তোরাঁ করলে বর্তমান ‘রসনা বিলাস’র দায়িত্ব নেন এস এম রহমান পারভেজ। তার স্ত্রী হিসেবেই রেস্তোরাঁটি সামলানোর দায়িত্ব নেন তানিয়া রহমান।
স্বামী দুই মেয়ে এক ছেলের সংসার তানিয়ার। মেয়ে সাজনীন রহমান রিয়া (১২), এস এম তানভীর রহমান রামিম (১১) ও সানজিদা রহমান রিমিকে (৪) সামলে একশো আসনের ব্যস্ত এই রেস্তোরাঁটি কি করে সামলান- এই প্রশ্নে স্মিত হেসে তানিয়া রহমান বাংলানিউজকে জানান, সামলাতে হয়। স্বামী নানা কাজে ব্যস্ত থাকে। ৩১ জন কর্মীর দেখা-শোনা, রেস্তোরাঁয় আসা অতিথিদের ভালো-মন্দ, সবই দেখতে হয় আমাকে।
এস এম রহমান পারভেজ বাংলানিউজকে জানান, এই রেস্তোরাঁর জনপ্রিয়তার ধারাবাহিকতায় আশেপাশে বেশ ক’টি নতুন রেস্তোরাঁ চালু হয়েছে। তবে আমাদের অতিথি সংখ্যা দিনে দিনে আরো বেড়েছে।
তিনি জানান, নানা সামাজিক কাজে ব্যস্ত থাকায় এখন তানিয়াই দেখছে রসনা বিলাস। ঘরে থাকলেও আইপি ক্যামেরার মাধ্যমে তানিয়াই রেস্তোরাঁর তদারকি করেন, যোগ করেন পারভেজ।
** মালয়েশিয়ায় দেশি খাবারের উদ্যোগই পাল্টে দেয় কবিরের জীবন
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৬
এটি