ঢাকা: বিজ্ঞানী ড. মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদার ১২২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির পরিচালক মো. মোবারক হোসেন। শিক্ষা ও গবেষণায় ড. মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদার অবদান শীর্ষক আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. নীলুফার নাহার। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
মো. মোবারক হোসেন বলেন, ড. মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা বাংলাদেশের শিক্ষা ও বিজ্ঞান আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা। আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে তার অবদান তুলনারহিত।
ড. নীলুফার নাহার বলেন, বিজ্ঞানচর্চায় ড. মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদার অবদান মৌলিক ও নিত্য-প্রাসঙ্গিক। তিনি বিজ্ঞানের তত্ত্বীয় দিকের পাশাপাশি ব্যবহারিক বিষয় নিয়েও সমান আগ্রহী ছিলেন। কারণ তিনি মনে করতেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অভিমুখ সাধারণ মানুষের কল্যাণে নিবেদিত হওয়া উচিত। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আনয়নের লক্ষ্যে স্বাধীনতার পর ড. মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদার নেতৃত্বে যে শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়, তার প্রণীত নীতিমালা এদেশে যুগোপযোগী শিক্ষা-পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রেখে চলেছে।
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, ড. মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদার মতো মনীষী একটি জাতির আধুনিক মন ও মনন গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি সারাজীবন শিক্ষা ও বিজ্ঞানচর্চার মধ্য দিয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিজ্ঞানভিত্তিক-সুশিক্ষিত বাংলাদেশ গঠনে প্রেরণা দিয়েছেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক ড. সাইমন জাকারিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২২
এইচএমএস/আরবি