ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সাভারে বাইক চুরির ঘটনায় কথিত যুবলীগ নেতার ৩ সহচর গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২২
সাভারে বাইক চুরির ঘটনায় কথিত যুবলীগ নেতার ৩ সহচর গ্রেফতার সাভারে বাইক চুরির ঘটনা সিসি টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে

সাভার (ঢাকা): সাভারে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে কথিত এক যুবলীগ নেতার ঘনিষ্ঠ সহচরদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (০১ ডিসেম্বর) দুপুরে গ্রেফতার তিন আসামির রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায় আশুলিয়া থানা পুলিশ।
 
গ্রেফতার আসামিরা হলেন- আশুলিয়ার কাঁইচাবাড়ি এলাকার জহিরুল ইসলাম, আনিছুর রহমান হিরু ও শরীফুল ইসলাম।  

ভুক্তভোগী চিকিৎসক ডা. গোলাম রাব্বী বলেন, যুবলীগ নেতা পরিচয় দেওয়া বাদল শেখের ওখানে কাজ করে হিরু, জহির। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দিনগত ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে আমাদের বাসার কেয়ারটেকার শরিফুল মিলে একটা আরওয়ান ফাইভ ও রানার বোল্ট দুইটা মোটরবাইক চুরি করে নিয়ে গেছে। যার সিসিটিভির ফুটেজ আছে আমাদের কাছে। তবে যাওয়ার পথে আমার ছোট ভাইয়ের আরওয়ান ফাইভ বাইকের তেল না থাকায় বন্ধ হয়ে যায়। তখন বাইকের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ভাঙচুর করে স্টার্ট দেওয়ার চেষ্টা করেছে। চালু করতে না পেরে বাইকটা ওখানেই ফেলে রেখে, আরেকজনের রানার বোল্ট বাইক চুরি করে নিয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, রাজনীতি করে বাদল, ওর ওখানে জহির ও হিরু কাজ করে। এরা বাদলের স্টাফ। বাদলের ইশারাতেই এরা বাইক চুরি করছে। একটা গার্মেন্টে বাদলের টিফিনের ব্যবসা সামলায় জহির। আর হিরু বাদলের অ্যাসিস্ট্যান্ট। আমরা সিসিটিভি ও অনেকের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি ওরা তিন জন (জহির, হিরু, শরিফ) বাইক চুরির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। আমরা যখন জানতে পেরেছি তখন ওরা তিনজন পালিয়ে গিয়ে কাঁইচাবাড়ি এলাকার এক বাসায় লুকিয়েছিল। পরে পুলিশ বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাতে দরজা ভেঙে ওদের নিয়ে এসেছে।  

এদিকে ওই যুবলীগ নেতা চোর চক্রের সঙ্গে নিজের সখ্যতা অস্বীকার করলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের ঘনিষ্ঠতার একাধিক ছবি পাওয়া গেছে। চোর চক্রের সঙ্গে সখ্যতার অভিযোগের বিষয়ে নিজেকে আশুলিয়া থানা যুবলীগের সদস্য পরিচয় দেওয়া এসকে বাদল শেখ বলেন, জহির আমার কেউ না ভাই। ওরা প্রতিবেশী। মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে আটক হইছে এটুকু জানি। স্পটে দেখলাম পুলিশ দুইজনকে অ্যারেস্ট করে নিয়ে গেছে। আইনগত ভাবে যা হয় যদি তারা দোষী সাব্যস্ত হয় তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে। এতে আমার কোনো আপত্তি নাই। জহির করে ইট-বালির ব্যবসা। আমার সাইড নিয়ে আমি আছি।

আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মঈনুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, বাদল শেখ যুবলীগের কোনো পদে নাই। যুবলীগের সে কেউ নয়।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম কামরুজ্জামান বলেন, মোটরাসাইকেল চুরির ঘটনায় আটক তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তাদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আজ ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২২
এসএফ/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।