খাগড়াছড়ি: পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির সাংঘর্ষিক ও বৈষম্যমূলক ধারা সংশোধনের দাবিতে খাগড়াছড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী জানানো হয়।
বক্তব্যে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমাকে ৩৬ হাজার বাঙালির হত্যাকারী হিসেবে দায়ী করে বিচার দাবি করেন।
কাজী মজিবুর রহমান বলেন, গত ২৪ বছরে পাহাড়ে যে উন্নয়ন হয়েছে তা অভাবনীয় হলেও গত দুই যুগ ধরে পাঁচটি গ্রুপের বিরুদ্ধে উন্নয়ন প্রকল্পে চাঁদাবাজিসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। দেশের একই সংবিধানে নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত হওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। পাহাড়ে সুযোগ-সুবিধায় বাঙ্গালিরা বঞ্চিত। ভূমি ব্যবস্থাপনায় প্রথাগত রীতি অনুসরণের বিধান যুক্ত করায় সেখানে বসবাসরত বাঙ্গালিদের ভূমিহীন ও বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কায় দিন গুনছে।
তিনি আরও বলেন, আঞ্চলিক সংগঠনগুলো ও তাদের সমর্থকরা বিদ্বেষমূলক ও ঘৃণাব্যাঞ্জক প্রচারণ চালিয়ে দেশি-বিদেশি ইন্ধনে পাহাড়কে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে স্বাধীন জুমল্যান্ড প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে চলছে। চুক্তিতে উপজাতি হিসেবে নিদেশের স্বীকৃতি দিলেও এখন নিজেদের আদিবাসী হিসেবে দাবী করছে।
এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বৈষম্যমূলক ধারাসমূহ সংশোধণপূর্বক পূনঃমূল্যায়নের দাবি করা হয়। একই সঙ্গে জনসংহতি সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমার অপসারণ, পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রত্যাহারকৃত নিরাপত্তাবাহিনীর সকল ক্যাম্প পুন:স্থাপনের দাবী করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, জেলা সভাপতি আব্দুল মজিদ, এসএম মাসুম রানা, মো. সোলেমান, লোকমান হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২২
এডি/এমজে