ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাদেশ উন্নয়নের এক অনুকরণীয় উদাহরণ: দেবপ্রিয় 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২২
বাংলাদেশ উন্নয়নের এক অনুকরণীয় উদাহরণ: দেবপ্রিয় 

ঢাকা: সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ও নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের একটি অনুকরণীয় উদাহরণ। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের সম্ভাবনা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক অনেক সংশয় অতিক্রম করেছে।

 

সারা দেশের স্থানীয় পর্যায়েপ্রাপ্ত মতামত জাতীয়ভাবে উপস্থাপনের লক্ষ্যে রাজধানীর ব্র্যাক ইনে বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।  

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির বিশেষ ফেলে প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, প্রতি বছর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, আয় বাড়া, দরিদ্র কমা এবং কাঠামোগত বিভিন্ন পরিবর্তনের সমীক্ষা আমরা দেখতে পাচ্ছি। এছাড়াও মাথাপিছু আয় বাড়া, ডিজিটাল সংযোগের মাধ্যমে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এমনকি কোভিড ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ৭৫ দশমিক ২ শতাংশ জনগোষ্ঠীর সবাইকে টিকাদান সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন হচ্ছে, আয় বাড়ছে। কিন্তু তার মধ্যে অসমতা বিদ্যমান এবং সব উন্নয়নের সুফল সবাই সমানভাবে পাচ্ছে না।

তিনি বলেন, দেশে প্রাথমিক শিক্ষা বেড়েছে কিন্তু শিক্ষার গুণগত মানের পতন হচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ে অনেকেই আর্থিক সঙ্গতির অভাবে শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়ছে। যে উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে তা দিয়ে সমগ্র শিক্ষার খরচ বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে স্বাস্থ্য খাতে মানের উন্নয়ন হচ্ছে না। যদিও বড় বড় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হাসপাতাল হচ্ছে। সেখানে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন জায়গায় সুপেয় পানির অভাব এবং পয়ঃনিষ্কাশন এর জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে, যা স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও ঝুঁকির সৃষ্টি করছে। সামাজিক সুরক্ষার পরিমাণ পর্যাপ্ত নয়। সড়ক নিরাপত্তার অভাব। সঠিক পরিবহন ব্যবস্থার অভাবের ফলে সড়ক দুর্ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে নারী, যুব এবং প্রবীণরা নানাভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। সামাজিক এবং পারিবারিকমণ্ডলে নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ছে। অন্যদিকে কর্মসংস্থানের অভাবে যুবকরা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার বিভ্রান্তি, মাদকাসক্তি, মানসিক বিষণ্নতা, উগ্রবাদের প্রতি আকর্ষণ বিচ্ছিন্নতার অন্যতম প্রধান কারণ।

প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তৃণমূলের বক্তব্যে দুইটি বিষয় ওঠে এসেছে এবং তা হলো বণ্টেনের দিক এবং আকাঙ্ক্ষার দিক। উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে গড়ের সমীকরণ আমাদের সমাজে আছে সেখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এ গড়ের কাছাকাছি স্থানীয় মানুষদের তখনই আনা সম্ভব, যদি ইতিবাচক আলোচনা হয় এবং তা হতে হবে রাষ্ট্রীয়ভাবে।

তিনি বলেন, দৃশ্যমান যে উন্নয়ন হয়েছে সেখানের দৃশ্যের সঙ্গে মানের ব্যাপারেও গুরুত্ব দিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২২
জেডএ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।