রাজবাড়ী: ইউটিউব ও গুগল থেকে পরামর্শ গ্রহণ করে বানিজ্যিকভাবে সাউথ আফ্রিকান মালটা চাষ করে সফল হয়েছেন রাজবাড়ীর কৃষক কাজী সিদ্দিক। এ বছ চার লাখ টাকা মালটা বিক্রি করেন তিনি।
তিনি বলেন, সাউথ আফ্রিকান জাতের এই মালটা একটি সম্ভাবনাময় ফসল। এ মালটা চাষে তৈরি হবে নতুন নতুন উদ্যোক্তা, ঘুচবে বেকারত্ব।
কৃষি বিভাগ বলছে মালটা চাষে কৃষককে দেওয়া হচ্ছে সব ধরনের সহযোগিতা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানান, মালটার বাগান একবার তৈরি করলে ২ বছর পর থেকে এক নাগারে ১০ থেকে ১২ বছর ফল পাওয়া যায়। রাজবাড়ীর আবহাওয়া ও মাটি মালটা চাষের উপযোগি হওয়ায় এটি আগামীতে একটি সম্ভাবনার ফসল হবে বলেও আশা করছেন তারা।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের চরলক্ষিপুর গ্রামের কৃষক কাজী সিদ্দিক জানান, দীর্ঘ ১১ বছর প্রবাস জীবন শেষে দেশে এসে কৃষি কাজকেই বেছে নিয়েছেন। ইউটিউব আর গুগল দেখে আগ্রহী হন সাউথ আফ্রিকান জাতের মালটা চাষে।
২০২০ সালে জানুয়ারী মাসে চুয়াডাঙ্গা থেকে ৪০০ মালটা গাছের চারা সংগ্রহ করে একটি মালটা বাগান তৈরি করেন তিনি। ২ বছর পর এখন তার বাগানের ২০০ গাছে থোকায় থোকায় দুলছে সবুজ ও হলুদ রঙয়ের মালটা। এরই মধ্যে ৪ লাখ টাকার মালটা বিক্রি করেছেন তিনি। এ মালাটা সুস্বাদু ও রসালো হওয়ায় বাজারে এ ফলের চাহিদা বেশি ও লাভও বেশি বলছেন এই উদ্যোক্তা।
ফরিদপুর জেলার শিবরামপুর এলাকার কৃষক জহিরুল ইসলাম বলেন, আমি লোকমুখে শুনে মালটার বাগান দেখতে এসেছি।
সিদ্দিক আরও বলেন, চারা কিনতে আবার বিদেশ থেকেও অর্ডার দিচ্ছেন কেউ কেউ। লাভ জনক ফসল হওয়ায় অন্যান্য কৃষকেরাও আগ্রহী দেখাচ্ছে এই জাতের মালটা চাষে।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. বাহাউদ্দিন সেক জানান, মালটা একটি জনপ্রিয় ফল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। মালটা চাষে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সব সময় পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছে। এতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২২
এসএম