কক্সবাজার: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে গত দুইদিন ধরে জেলেদের টানা জালে আটকা পড়ছে শত শত জেলিফিশ।
শনিবারবের মতো রোববার (৪ ডিসেম্বর) সকালেও জালে আটকা পড়ে মারা যায় এসব জেলিফিস।
সৈকতের বীচকর্মী মো. বেলাল বলেন, মহেশখালীর কয়েকজন জেলে রোববার সকালে বোট নিয়ে এসে লাবনী পয়েন্ট সংলগ্ন সাগরে টানা জাল ফেলে। কিছুক্ষণ পর জালটি টেনে তুললে সেখানে দেখা যায় ,অল্প কিছু মাছ আর শত শত জেলিফিশ আটকা পড়েছে। পরে জেলেরা মাছগুলো নিয়ে জেলিফিসগুলো চরে ফেলে দেন ।
এর আগে শনিবার সকালেও একইভাবে শত শত জেলিফিস আটকা পড়ে বলে জানান বেলাল।
এদিকে সৈকতে জেলিফিশ ভেসে আসার খবর পেয়ে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বুরি) মহাপরিচালক ও সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দারসহ একদল বিজ্ঞানী সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন।
সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার বলেন, বিভিন্ন সময় মৎস্যজীবীদের বিহুন্দি জালে জেলিফিশগুলো অযাচিতভাবে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে। জেলিফিস নামে ফিস হলেও আসলে এটি মাছ নয়। এটিকে সাদা নুইন্যা ও বলাও হয়। এই জেলিফিশ খাদ্য হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয়। এটি ওষুধ ও প্রসাধন শিল্পেও ব্যবহার হয়। বঙ্গোপসাগর সাদা নুইন্যার আবাসস্থল হলেও বাংলাদেশে এর কোনো ব্যবহার নেই। অথচ বিশ্বে জেলিফিশের ৫ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা সাদা নুইন্যা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে।
গত ৩ নভেম্বর বিশ্ব জেলিফিশ দিবস উপলক্ষে বুরির সম্মেলন কক্ষে দেশে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক সেমিনার
অনুষ্ঠিত হয় বলে জানান এই সমুদ্রবিজ্ঞানী।
বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা ১৫৩০, ডিসেম্বর ০৪, ২০২২
এসবি/এসএএইচ