ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শেষ হলো তিন দিনব্যাপী পাঠাগার সম্মেলন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২২
শেষ হলো তিন দিনব্যাপী পাঠাগার সম্মেলন

টাঙ্গাইল: পাঠাগারকে গণমানুষের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে শেষ হয়েছে তিন দিনব্যাপী পাঠাগার সম্মেলন। সম্মেলনের বিভিন্ন সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সারা দেশের পাঠাগারগুলোর মধ্যে সেতুবন্ধন রচিত হলো।

দেশকে এগিয়ে নিতে, জ্ঞানভিত্তিক আলোকিত সমাজ গড়তে নতুন প্রজন্মকে পাঠাগারমুখী করতে হবে।

ভূঞাপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম অর্জুনাতে যমুনা নদীর তীরে হাজী ইসমাইল খাঁ বেসরকারি কারিগরি কলেজ মাঠে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন আয়োজিত সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দুই শতাধিক পাঠাগারের চার শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন।

সমম্মেনের শেষ দিন শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে ‘পাঠাগার আন্দোলন: সংকট, উত্তরণ ও সম্ভাবনা’ বিষয়ক গবেষণার বিষয়ে আলোচনা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সৌমিত্র চক্রবর্তী, সমাজ গবেষক মোশারফ হোসেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম আলোচনায় অংশ নেন। এছাড়াও দুপুরে ‘শিশুর মানসিক বিকাশে শিল্প চর্চার গুরুত্ব ও পাঠাগারের ভূমিকা’ এবং ‘গণমানুষের মানষ চৈতন্য উন্নয়নে পাঠাগারের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

এ দিন বিকেলে সমাপনী অধিবেশন সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক আবদুস ছাত্তার খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সমাজ বিশ্লেষক বাদল মাহমুদ, সম্মেলন কমিটির উপদেষ্টা কাশেম মাসুদ, ছড়াকার সোহেল সৌকর্য, সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব জুলিয়াস সিজার তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। শেষে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী পাঠাগারের সদস্যদের সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়।

সম্মেলন বাস্তবায়ক কমিটির আহ্বায়ক আবদুস ছাত্তার খান জানান, জ্ঞানভিত্তিক একটি সমাজ নির্মাণে ‘পাঠাগার হোক গণমানুষের বিশ্ববিদ্যালয়’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে এই পাঠাগার সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বেসরকারি পাঠাগারের সংগঠকরা এসেছিলেন। গত তিন দিন তারা পারস্পরিক চিন্তা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পেরেছেন। নানা সমস্যার কথা উঠে এসেছে তাদের আলোচনায়। পাঠাগারগুলো একটি ঐক্যের সূত্রে একত্রিত হতে পেরেছে এই সম্মেলনের মাধ্যমে।

গত বৃহস্পতিবার এই সম্মেলন শুরু হয়। প্রত্যন্ত গ্রামে তাবু টানিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা চার শতাধিক প্রতিনিধির থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। প্রতি রাতে সম্মেলন মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২২
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।