ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঝোপের মধ্যে শিশুর মরদেহ, হত্যার দাবি পরিবারের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২
ঝোপের মধ্যে শিশুর মরদেহ, হত্যার দাবি পরিবারের

নরসিংদী: নরসিংদীর বেলাব উপজেলায় নিখোঁজ হওয়ার আট দিন পর অর্ধগলিত অবস্থায় সোহানা নামে চার বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের মেরাতলীকান্দা গ্রামের একটি ঝোপ থেকে শিশুটির মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা।

পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

ন্যক্কারজনক এ ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বেলাব থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

শিশু সোহানা জন্মের পর থেকেই উপজেলার মেরাতলীকান্দা গ্রামের মাসুদ মিয়ার (নানা) বাড়িতে থাকতো। তার বাবার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর থানার টেঙ্গাপাঁড়া গ্রামে। শিশুটির মা সুমি আক্তার ও বাবা সুহেল মিয়া টঙ্গীতে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন।

স্থানীয়রা জানান, সোহানা গত সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) দিন নিখোঁজ হয়। তারপর খোঁজাখুঁজি করেও খোঁজ মেলেনি শিশুটির। পরে আশপাশের এলাকায় মাইকিং করা হয়। এতেও নিখোঁজ শিশুটির খোঁজ পায়নি পরিবার।

পরে আজ সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে প্রতিবেশীর বাড়ির পাশের আড়িয়াল খাঁ নদের তীরে একটি ঘাস বাগানে চোখ উপড়ানো অবস্থায় শিশুটির মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। এ সময় মরদেহের কিছু দূরেই শিশুটির গায়ের জামা পরে ছিল। পরিবারের দাবি কেউ শিশুটিকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করে ফেলে রেখেছে।

স্থানীয়রা আরও জানান, সোহানার বাবা-মা তাকে নানা-নানীর কাছে রেখে টঙ্গীর একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। গত সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে শিশুটিকে বাড়ির একটু সামনে মেরাতলীকান্দা সড়কের পাশে একটি কালভার্টের পাশে বসে কান্না করতে দেখেছে প্রতিবেশীরা। এর কিছুক্ষণ পর থেকেই শিশুটি আর পাওয়া যায় নি। নিখোঁজের আট দিন পর সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায়।

শিশুটির নানা মাসুদ মিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, গত সোমবার দুপুরে আমার নাতনি নিখোঁজ হয়। থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ আড়িয়াল খাঁ নদে খোঁজ করতে বলে। তাই জিডি করা হয়নি। আমার ধারণা, আমার নাতনিকে কেউ ধর্ষণ করে হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

শিশুটির বাবা সুহেল মিয়া বলেন, আমার নিষ্পাপ মেয়েকে নির্যাতন করে যারাই হত্যা করেছেন, আমি তাদের ফাঁসি চাই।

বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তানভীর আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এলাকাবাসী অনেকেই বলেছেন, যেদিন শিশুটি নিখোঁজ হয়, সেদিন তার গায়ে কাপড় ছিল না। তাই ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনাটি ঠিক না। আমরা তদন্ত করছি। এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। আর এখনও মামলা দায়ের করা হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।