লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের পাটগ্রামে মসজিদ সংস্কার নিয়ে সংঘর্ষে আহত মসজিদ কমিটির সভাপতি অলিয়ার রহমানের (৭০) মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
অলিয়ার রহমান উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারমারা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উফারমারা বায়তুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি ছিলেন।
জানা গেছে, উপজেলার উফারমারা বায়তুল আমান জামে মসজিদটি টিনশেড ঘরে নামাজ পড়তো সবাই। তা সংস্কার করে পাকা করণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে মসজিদ কমিটি ও গ্রামবাসী। সবার দানে ইতোমধ্যে পাকা করণের কাজ শুরু হয়। নতুন মসজিদ নির্মাণের জন্য পুরাতন টিনশেড ঘরটি গত ২১ ডিসেম্বর সড়ানো শুরু করেন শ্রমিকরা। এ সময় ওই গ্রামের অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য হামিদুল ইসলাম ও তার ভাই ফরিদুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম কাজে বাধা দেন। মসজিদ কমিটির সভাপতি অলিয়ার রহমান কাজে বাঁধা দেওয়ার কারণ জানতে গেলে তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়।
এক পর্যয়ে হামিদুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতির উপর লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। তাকে বাঁচাতে তার ছেলে আবু আলম ও শাহা আলম এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারপিট করে। স্থানীয়রা এসে তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য অলিয়ার রহমান ও তার ছেলে আবু আলমকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে টানা এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে মারা যান সভাপতি অলিয়ার রহমান।
এ ঘটনায় গত ২১ ডিসেম্বর অলিয়ার রহমানের ছেলে শাহা আলম বাদি হয়ে হামিদুলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে পাটগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ ওই দিন রাতেই হামিদুলের স্ত্রী আঞ্জু বেগমকে গ্রেফতার করে। অপর অভিযুক্তদের মধ্যে ৭ জন মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পাটগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার দিনেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অলিয়ার রহমান মারা গেছেন। এ দিনই ৭ জন আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের সকলের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
এসএম