ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কবর সংরক্ষণ নিরুৎসাহিত করতে ফি বাড়ানো হয়েছে: মেয়র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩
কবর সংরক্ষণ নিরুৎসাহিত করতে ফি বাড়ানো হয়েছে: মেয়র

ঢাকা: কবর দেওয়ার জন্য নয় বরং কবর সংরক্ষণ নিরুৎসাহিত করতে ফি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় ৪ নম্বর সেক্টর কবরস্থান উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

 

আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন কবরাস্থানে কবর দেওয়ার ফি বাড়ানো হয়নি। বরং কবর সংরক্ষণের জন্য ফি বাড়ানো হয়েছে। কবর সংরক্ষণে নিরুৎসাহিত করতেই মূলত সংরক্ষণ ফি বাড়ানো হয়েছে। প্রতিনিয়ত বিপুল সংখ্যক আবেদন আসে কবর সংরক্ষণের জন্য। এভাবে কবর সংরক্ষণ করা হলে কবর দেওয়ার জায়গা কমে যাবে। আশা করছি ফি বৃদ্ধির কারণে কবর সংরক্ষণের আবেদন অনেক কমবে এবং সাধারণ মানুষ কবর দেওয়ার সুযোগ পাবে।

কবরস্থানে জনগণ সীমিত ফিতে দাফনের সুযোগ পাচ্ছেন উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ডিএনসিসির আওতাধীন কবরস্থানে প্রতিটি মরদেহ দাফন বাবদ রেজিস্ট্রেশন ফি মাত্র ৫০০ (পাঁচশত) টাকা এবং দুস্থ, অসহায় ও বিত্তহীন মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই ফি মাত্র ১০০ (একশত) টাকা। এছাড়া কেউ যদি একশো টাকাও পরিশোধ করতে অপারগ হয় তার জন্য বিনামূল্যে দাফনের সুযোগ রয়েছে।

এসময় তিনি বলেন, কবরস্থানসহ অন্যান্য স্থাপনা মেইনটেন্সের জন্য সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি জনগণকে, কমিউনিটিকে এগিয়ে আসতে হবে। এলাকাবাসী ও সোসাইটির নেতৃত্বে সিটি কর্পোরেশনের স্থাপনা, ফুটপাত, মাঠ, পার্কগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। নির্মাণকাজের জন্য গাছ কাটা যাবে না। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করি গাছ না কেটে কাজ সম্পন্ন করতে। আমরা সাধারণত একটি গাছ কেটে ৩টি গাছ লাগানোর কথা বলি। কিন্তু এখন বলছি গাছ না কেটেই ৩টি গাছ লাগাবেন।  

মেয়র আরও বলেন, মহামারি করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে যখন পুরো বিশ্ব বিপর্যস্ত তখনো আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সীমিত সম্পদের মধ্যে সর্বোচ্চ কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। ১৮টি নতুন ওয়ার্ডেও আমরা উন্নয়ন কাজ শুরু করেছি। নতুন এলাকায় সবকিছু মাস্টারপ্লান করে ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছি। অনেক বড় প্রকল্প তাই একটু সময় লাগছে। টেকসই উন্নয়নের জন্য সময় নিয়ে কাজটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, নগরবাসীর সামাজিক ও সংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সামাঞ্জস্যপূর্ণ, বসবাস উপযোগী কার্যকর ও টেকসই অবকাঠামো বিনির্মাণের মাধ্যমে পরিবেশ উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ‘ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উন্মুক্ত স্থানসমূহের আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও সবুজায়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৭ সালে হাতে নেওয়া হয়। সম্পূর্ণ জিওবি অর্থায়নে প্রায় ২০২.০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় (ক) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৮টি পার্ক ও ৪টি খেলার মাঠের উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন (খ) ২৩টি বিদ্যমান পাবলিক টয়লেট উন্নয়ন এবং আধুনিকায়ন, স্বাস্থ্যসম্মত ও ব্যবহার উপযোগী নতুন ৫০টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ (গ) পর্যাপ্ত খোলা এবং সবুজ স্থান রেখে ২টি কবরস্থান উন্নয়নসহ অন্যান্য কাজ অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। ইতোমধ্যে ২টি পার্ক এবং ১টি খেলার মাঠ ছাড়া প্রকল্পের সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুলকার নাইন, ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আফছার উদ্দিন খান, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হাছিনা বারী চৌধুরী, স্থপতি ইকবাল হাবিব, উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩
এমএমআই/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।