ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চিকিৎসকের ওপর হামলা, প্রতিবাদে মানববন্ধন-আল্টিমেটাম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩
চিকিৎসকের ওপর হামলা, প্রতিবাদে মানববন্ধন-আল্টিমেটাম মানববন্ধন

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ১০০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কমলেশ বাগচীর ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন কর্মরত চিকিৎসকরা।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) গোপালগঞ্জ শাখার আয়োজনে টুঙ্গিপাড়া ১০০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

 

একই জেলার সব সরকারি হাসপাতালে অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হয়েছে বলে বিএমএ সূত্রে জানা গেছে।

অপরদিকে এ ঘটনার বিচার দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মবিরতি ও কঠোর র্কমসূচি ঘোষণার কথা জানিয়েছে বিএমএ গোপালগঞ্জ জেলা শাখা।
 
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে ১০ থেকে ১৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে টুঙ্গিপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন হামলার শিকার ডা. কমলেশ বাগচী। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মানববন্ধনে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিন, অর্থোপেডিক ডা. এএফএম জুলফিকার রহমান, চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. তানভীর হোসেন, ডা. তরিকুল ইসলাম, ডা. মনির হোসাইন, ডা. আলিফ শাহারিয়ারসহ ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের সংগঠন ফারিয়ার সদস্যবৃন্দ ও হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গতকাল ১৩ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) সকাল ৭টায় উপজেলার গিমাডাঙ্গা গ্রামের জায়েদ মুন্সী (১৭) প্রচণ্ড জ্বর, শ্বাসকষ্ট, শারীরিক দুর্বলতা ও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. কমলেশ বাগচী তাকে দ্রুত গোপালগঞ্জ সদর অথবা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলেন। কিন্তু পরিবারের লোকজন গরিমশি করে সময় নষ্ট করে উন্নত চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ অথবা খুলনা নেয়নি। এমনকি রোগীর স্বজনরা চিকিৎসকের দেওয়া প্রয়োজনীয় টেস্টগুলোও করায়নি। পরে দুপুরে রোগীর অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক হলে দায়িত্বরত নার্স ডা. কমলেশ বাগচীকে জানান। তখন তিনি শারীরিক পরীক্ষা শেষে রোগীকে মৃত ঘোষণা করে মৃত্যুসনদ দিয়ে দেন। এতে রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে চিকিৎসকে মারধর করে আহত করেন। পরে হাসপাতালে দায়িত্বরত কর্মচারীরা তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী কক্ষে আটকে রাখেন। তখন হামলাকারীরা পালিয়ে যান।

গোপালগঞ্জ জেলা বিএমএ’র মহাসচিব ডা. হুমায়ুন কবির এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এসময় আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর‌্যন্ত জেলার সব হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর‌্যন্ত কর্মবিরতি পালনের ঘোষণার কথা জানান। ওই দিন রাত ১২টার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও তিনি জানান।

এ বিষয়ে টুঙ্গিপাড়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আবুল মুনসুর বলেন, চিকিৎসকের ওপর হামলার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী চিকিৎসক। তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।