ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

তালতলীতে বেশি দামে খাদ্যবান্ধব চাল বিক্রির অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২৩
তালতলীতে বেশি দামে খাদ্যবান্ধব চাল বিক্রির অভিযোগ ফাইল ফটো

বরগুনা: বরগুনার তালতলীতে খাদ্যবান্ধব চাল বেশি দামে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ডিলারের বিরুদ্ধে।  

শনিবার (৮ এপ্রিল) উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব ডিলার মো. কাওসার হাওলাদারের বিরুদ্ধে একাধিক কার্ডধারী সুবিধাভোগীরা এ অভিযোগ করেন।

 

জানা গেছে, সারাদেশে খাদ্যবান্ধব ডিলারের মাধ্যমে ১৫ টাকা কেজি দরে খোলা বাজারে চাল বিক্রি করছে সরকার। এ হিসাবে প্রত্যেক কার্ডধারী প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল পাবে ৪৫০ টাকায়। কিন্তু সরকারের এ মহান উদ্যোগের ব্যতিক্রম ঘটিয়ে উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব ডিলার মো. কাওসার হাওলাদার ৩০ কেজির এক বস্তা চাল বিক্রি করছেন ৫শ টাকায়। বস্তা প্রতি তিনি ৫০ টাকা করে বেশি নিচ্ছেন।

তালতলী উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ বাদুরগাছা গ্রামের ছাইদুল ইসলাম, নুরুল হক হাওলাদার ও আলআমিন খান জানান, ওএমএস ডিলার কাওসার হাওলাদারের উপস্থিতিতে এবং তার সরাসরি নির্দেশে ডিলারের লোকজন কার্ডধারী সবার কাছ থেকেই প্রতি ৩০ কেজির বস্তায় ৫শ টাকা করে রেখেছেন।  

মধ্য বাদুরগাছা গ্রামের মহিউদ্দিন হাওলাদার জানান, শুক্রবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে ওএমএস ডিলার মো. কাওসার হাওলাদারের কচুপাত্রা বাজারের অফিসে গিয়ে সে কার্ড দিয়ে এক বস্তা চাল নেওয়ার জন্য ৪৫০ টাকা দিয়েছেন। তার কাছে ডিলার সাহেব নিজেই চেয়ে আরও ৫০ টাকা রেখেছেন।  

উত্তর কচুপাত্রা গ্রামের মোশারেফ হোসেন জানান, বহু তর্ক করেও ৫শ টাকার কম দিতে পারি নাই। বাদুরগাছা গ্রামের মোহাম্মাদ আলী খানের স্ত্রী বিলকিচ বেগম জানান, অভাবের কারণে তার স্বামী চট্টগ্রামে কাজ করেন। সে কারণে তার স্বামীর নামের চালের কার্ডটি নিয়ে ডিলারের কাছে গিয়ে বহু অনুরোধ করছিলাম কিন্তু স্বামী আসলে চাল দেবে বলে এখন চাল না দিয়েই ফেরত দিয়েছে।

শারিকখালী ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব ডিলার মো. কাওসার হাওলাদার অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ৩০ কেজি চালের দাম ৪৫০ টাকা। তবে পুরাতন কার্ড বাদ দিয়ে চালের সঙ্গে নতুন কার্ড দেই তার খরচ ৩০ টাকা ও তিন-চারজন লোক রেখে কাজ করাচ্ছি তার খরচ হিসেবে ২০ টাকা মোট ৫০ টাকা বেশি নিচ্ছি।

শারিকখালী ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. ফারুক খান বলেন, খাদ্যবান্ধব ডিলার ৩০ কেজির এক বস্তা চালের দাম ৪৫০টাকা। এখানে টাকা বেশি রাখার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে ইউএনওর সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার তুম্পা বলেন, অভিযোগ পেয়ে খাদ্যবান্ধব ডিলার মো. কাওসার হাওলাদারের কাছে জিজ্ঞাসা করে এর সত্যতা পেয়েছি। তিনি যাদের কাছ থেকে বেশি টাকা নিয়েছেন তা ফেরত দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে তার ডিলারশিপ বাতিলের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।