ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঠাকুরগাঁওয়ে ভুয়া চিকিৎসকের ২ বছরের কারাদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪০ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২৩
ঠাকুরগাঁওয়ে ভুয়া চিকিৎসকের ২ বছরের কারাদণ্ড

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও ভারতীয় চিকিৎসক পরিচয়ে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার দায়ে ডা. শারিকুল ইসলাম নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে দুই বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (০৬ মে) ভুয়া ও বিনা অনুমতিতে ভারতীয় চিকিৎসক পরিচয়ে বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁওয় পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতাল ‘আমাদের হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করছেন এমন অভিযোগ পেয়ে হাসপাতালটিতে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেন স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

এ সময় তাকে আটক এবং হাসপাতালটিকে শীলগালা করা হয়।
 
জানা যায়, রাজীব গান্ধী স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিবিএস ও এমডি করা ইন্টারনাল মেডিসিন ডিএম নিউরো সুপার স্পেশালিস্ট এবং জেনারেল মেডিসিন ও ব্রেইন স্পাইন নার্ভ বিশেষজ্ঞ ডা. শারিকুল ইসলাম। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আমাদের হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন।
 
ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ইফতেখায়রুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়ে এর আগেও আমরা দুই বার অভিযান পরিচালনা করেছি কিন্তু সংবাদ পেয়ে আমাদের আসার আগেই তিনি চলে গিয়েছিলেন। একই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আবারও আজকে অভিযান পরিচালনা করি। এসময় আমরা তার কাগজ পত্র যাচাই বাছাই করি। তিনি ভারতীয় কিছু সার্টিফিকেট, এমবিবিএস, এমডি ডিগ্রি ও একাডেমিক সার্টিফিকেট এসএসসি, এইচএসসি এবং ভারতের বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দেখিয়েছেন যা সব গুলোই ভুয়া।

তিনি আরও বলেন, শারিকুল ইসলাম আদৌ কোনো এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করেননি। আমরা তার ভারতীয় পার্সপোর্ট জব্দ করেছি। এছাড়াও আমরা তার মোবাইল চেক করে জানতে পেরেছি তিনি বাংলাদেশের চাপাই নবাবগঞ্জের নাগরিক। তিনি এটাও স্বীকার করেছেন যে বাংলাদেশ ও ভারতেরও নাগরিক। অর্থাৎ তিনি দ্বৈত নাগরিক।

এসময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। তাই তাদের কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়নি। তবে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।    

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামছুজ্জামান আসিফ বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ভুয়া ডা. শারিকুল ইসলামকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও আমাদের হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিকে শীলগালা করা হয়েছে এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২৩
এসএম 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।