ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

তনু হত্যা

বাবার প্রশ্ন: ৭ বছরে আর কতো সাক্ষ্য দেব

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২৩
বাবার প্রশ্ন: ৭ বছরে আর কতো সাক্ষ্য দেব

কুমিল্লা: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যা মামলায় তার  খালাতো বোন লাইজু জাহানের সাক্ষ্য নেওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট)। কিন্তু তার সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।

 

নির্ধারিত সময়ে তনুর বাবা-মা ও ভাই এবং লাইজু জাহান কুমিল্লা পিবিআই কার্যালয়ে হাজির হওয়ার পর তাদের জানানো হয়, তদন্ত কর্মকর্তা অসুস্থ, তাই সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। লাইজুর স্বামীর বাড়ি সিলেটে। সেখান থেকে লাইজু একদিন আগে মামলায় সাক্ষ্য দিতে কুমিল্লায় আসেন। পূর্ব নির্ধারিত সময়ে লাইজু, তনুর বাবা ইয়ার হোসেন, মা আনোয়ারা বেগম ও তনুর ছোট ভাই রোবেল হোসেন কুমিল্লা নগরের হাউজিং এস্টেট এলাকায় পিবিআই অফিসে পৌঁছান। পরে তাদের জানানো হয়, তদন্ত কর্মকর্তা অসুস্থ থাকায় সাক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে না।  

এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে মামলার বাদী তনুর বাবা বলেন, সাত বছরে আর কতো সাক্ষ্য দিতাম? যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে রহস্য বের হতো, তাদেরই তো এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। আমার পরিবারের প্রতিটি সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন এমনকি শিক্ষকরাও সাক্ষ্য দিয়েছেন আর কি বাকি রইল? 

তিনি আরও বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত বলে সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে। একদিন আগে আমাদের মোবাইল ফোনে তা জানিয়ে দিলে হতো, এটা হয়রানি ছাড়া আর কিছুই না।
 
২০১৬ সালের ২০ মার্চ কুমিল্লা একটি জঙ্গল থেকে তনুর মরদেহ উদ্ধারের পর আজও এ হত্যা রহস্যের জট খোলেনি। হত্যাকাণ্ডের পরদিন তনুর বাবা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সেই সময়ের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।  

ওই বছরের ৩০ মার্চ তনুর মরদেহ কবর থেকে তুলে দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্ত করা হয়। ওই ময়নাতদন্তেও মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করা যায়নি। এ মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পর ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সর্বশেষ ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে কুমিল্লা সিআইডি থেকে মামলার ডকেট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকায় হস্তান্তর হয়।  

তদন্ত সংস্থাগুলোর সূত্রে জানা যায়, এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে নমুনাগুলো প্রোফাইল করা হয়।  

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মজিবুর রহমান বলেন, আমার প্রচণ্ড জ্বর। ডেঙ্গু হতে পারে। মামলাটি অধিক গুরুত্ব দিয়ে আমরা আন্তরিকভাবে তদন্ত করে যাচ্ছি। সুস্থ হওয়ার পর লাইজু জাহানের সাক্ষ্য নেওয়া হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২২১ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।