ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে সেটি প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা: আইনমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২৩
নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে সেটি প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা: আইনমন্ত্রী

ঢাকা: নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে এটা প্রধানমন্ত্রীর ডিসক্রিশন (ইচ্ছাধীনতা)। তিনি চাইলে ছোটও করতে পারেন, প্রয়োজন মনে করলে যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকতে পারে।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষের সামনে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, সংবিধানে কিন্তু কোথাও নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলা নেই। এটা প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন তার কতজন মন্ত্রী নির্বাচনকালীন সময়ে প্রয়োজন। যদি তার সকলের প্রয়োজন থাকে সকলেই থাকবেন। আর যদি তিনি মনে করেন তিনি ছোট আকারে করতে পারেন সেটা তার ইচ্ছা। সংবিধান তাকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে।

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়ার মতো অবস্থা। কেউ কেউ বলছেন, সংবিধানে যেভাবে আছে, সেভাবে থাকা নিয়েও সংবিধানে কিছু বলা নেই, ছোট আকার নিয়েও কিছু বলা নেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী তার আগের কথার পুনরাবৃত্তি করে বলেন, আগেও বলেছি, এখনো বলছি- বলেন, সংবিধানে কিন্তু কোথাও নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কিছু বলা নেই।

অক্টোবরে সংসদের শেষ অধিবেশন। সেখানে কী হবে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, সংসদে আইন পাসের পাশাপাশি সব কিছু আলোচনা হতে পারে।

শ্রম আইন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শ্রম আইনের সংশোধনী মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়েছে। এখন যে সংশোধনীগুলো আছে সেটার বিষয়ে আইএলও’র কিছু বক্তব্য আছে। আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর তাদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন, আমরা সেটা শুনেছি। কিছু কিছু ব্যাপারে আজ সমাধান করে ফেলেছি। আর কিছু বিষয়ে আগামী ২২ অক্টোবর ফের আলাপ-আলোচনায় বসব।

প্রশ্ন উঠেছিল, ট্রেন ইউনিয়ন গঠন নিয়ে আলাপ হয়েছে। গ্রুপ অব কোম্পানিজ ট্রেড ইউনিয়ন করতে চাইলে তখন ৩০ শতাংশ শ্রমিকের সই দরকার হতো। সেটিকে সংশোধন করে ২০ শতাংশ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এটা কমানো হবে বলে আইএলও’র কাছে আমাদের অঙ্গীকার ছিল।

মন্ত্রী বলেন, আমরা আইএলও’র কাছে আগেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলাম, ধীরে ধীরে এ শতাংশের হার আরও কমিয়ে আনা হবে৷ আগে প্রতিষ্ঠিত কোনো কোম্পানি পরিচালনার জন্য ৩ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠানে ২০ শতাংশের বদলে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের স্বাক্ষরে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাবে। তাদের এরিয়া অব কনসার্ন যেটা আমার মনে হয় না এটার ব্যাপ্তি অনেক। এটা সমাধান করা যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

আনিসুল হক বলেন, কিছু ছোটখাটো বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে৷ মূল কথা হচ্ছে তারা শ্রমিকদের ধর্মঘট করার সুযোগ, শ্রম আদালতের ক্ষমতা বাড়ানো এসবের ওপর জোর দিয়েছে। তারা আমাদের বেশিরভাগ সংশোধনীতে খুশি৷ তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বা আইএলও’র মানদণ্ড অনুযায়ী করার পরামর্শ দিয়েছেন৷ আমরা সেই স্পষ্টীকরণের জন্য আগামী রোববার বসব।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২৩
জিসিজি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।