ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মিধিলি: বিদ্যুৎ নেই লক্ষ্মীপুরের বেশিরভাগ অঞ্চলে, দুর্ভোগ চরমে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২৩
মিধিলি: বিদ্যুৎ নেই লক্ষ্মীপুরের বেশিরভাগ অঞ্চলে, দুর্ভোগ চরমে

লক্ষ্মীপুর: ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। এছাড়া গাছপালা ভেঙে লাইনও বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে।

ফলে বিদ্যুৎ নেই লক্ষ্মীপুরের বেশিরভাগ অঞ্চলে। এতে  চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী।  

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সারাদিন বিদ্যুৎ ছিল না এ জেলায়। তবে রাতে পৌর শহরের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও বেশিরভাগ এলাকা ছিল অন্ধকারে।  

শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া হয় পৌরসভার কোনো কোনো এলাকায়।  

আর জেলার সবগুলো উপজেলা শহর এবং গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন ওইসব এলাকার বাসিন্দারা। চার্জ নেই মোবাইল ফোনে। এছাড়াও কোনো কোনো এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক বিপর্যস্ত হয়ে আছে।  

লক্ষ্মীপুর জেলা শহর ও পৌর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। আর পাঁচটি উপজেলা শহরসহ গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।  

পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হাসান শাকিল বলেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার সারাদিন এবং সারারাত বিদ্যুৎ ছিল না। শনিবার সকালে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া হয় আমাদের।  

পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার টানা প্রায় ২০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যুৎ আসে। বিদ্যুৎ সরবরাহ এখন স্বাভাবিক রয়েছে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক চররমনীমোহন এলাকার বাসিন্দা নুরুল আলম, মান্দারী এলাকার মো. সুমন বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার সারাদিন আমরা বিদ্যুৎ পাইনি। রাতেও বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ছিলাম। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল ফোনে চার্জ দেওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া অন্ধকারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। শনিবারও বিদ্যুৎ আসেনি।  

রামগতির চরগাজী ইউনিয়নের বাসিন্দা মিসু সাহা শনিবার সকালে বলেন, আমাদের এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ আসেনি। মোবাইলে চার্জ দেওয়া নিয়ে আমরা বেকায়দায় আছি।  

কমলনগর উপজেলার বাসিন্দা সানা উল্যা বলেন, টানা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছি। কখন বিদ্যুৎসেবা পাব তারও নিশ্চয়তা নেই।  

লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার জাকির হোসেন বলেন, ঝড়ে জেলার বিভিন্নস্থানে আমাদের একশটির বেশি খুঁটি পড়ে গেছে। গাছপালা পড়ে তিনশর বেশি স্পটে তার ছিঁড়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে ট্রান্সফরমারে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করতে আমাদের কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।