ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খাদের ধারে ঝুলছে অ্যাম্বুলেন্স! অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন চালক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৪
খাদের ধারে ঝুলছে অ্যাম্বুলেন্স! অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন চালক

সিলেট: সিলেট-তামাবিল সড়কে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় চার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর প্রাণ সংহারের পর এবার অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন এক অ্যাম্বুলেন্সচালক।  

শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে ওই সড়কের হরিপুর এলাকায় একটি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে অ্যাম্বুল্যান্সচালক গুরুতর আহত হয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনার পর পরেই ট্রাকচালক পালিয়ে যান।

দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের এমডি সেকশনের ব্যবস্থাপক (সমন্বয়) মো. শাহ আলম। তিনি বলেন, খবর পেয়ে আমাদের লোকজন ঘটনাস্থলে যান।

স্থানীয়রা জানান, বেপরোয়া গতির ট্রাক অ্যাম্বুলেন্সটিকে সজোরে ধাক্কা দিলে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে দুমড়ে-মুছড়ে যায়। দুর্ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সের অবস্থা দেখলে অনুমেয় কেউ বেঁচে থাকার কথা নয়।  

এর আগে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাত ১টার দিকে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাইভেটকারে থাকা চার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর মৃত্যু হয়।  

নিহতরা হলেন, জৈন্তাপুরের নিজপাট লামাপাড়া গ্রামের জহুরুল মিয়ার ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য জুবায়ের আহসান (২৬), নিজপাট তোয়াসীহাটি গ্রামের রনদিপ পালের ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নিহাল পাল (২৫), নিজপাট পানিহারাহাটি গ্রামের আরজু মিয়ার ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মেহেদী হোসেন তমাল (২৪) এবং নিজপাট জাঙ্গালহাটি গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য সুমন আহমদ (২৫)।  

স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘটনার আগে রাত সাড়ে ১১টার দিকে জৈন্তাপুর বাজার থেকে চা পান করে প্রাইভেটকার আরোহী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জাফলংয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। ওই সময় চালকের আসনে ছিলেন জুবায়ের আহসান। তাদের বহনকারী প্রাইভেটকারটি বাংলাবাজার ব্রিজের পাশে রাংপানি নামক স্থানে যাওয়ামাত্র ট্রাকের ধাক্কায় সড়কের পার্শ্ববর্তী মসজিদের পুকুরে পড়ে যায়।

ঘটনার পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা চারজনকে উদ্ধার করে প্রথমে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক চারজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে ছাত্রলীগ নিহতদের সতীর্থ নেতাকর্মীদের অভিযোগ, দুর্ঘটনাকবলিতদের উদ্ধার করে যখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, তখনও তাদের একজনের হুশ ছিল। কিন্তু রাত গভীর হওয়াতে অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়নি। এছাড়া চিকিৎসায় বিলম্ব করারও অভিযোগ করেন। যে কারণে নেতাকর্মী সমর্থকরা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ভাঙচুর করেন।

পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জানান, ময়নাতদন্ত শেষে নিহতদের মরদেহ জৈন্তাপুর উপজেলার গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হলে সেখানো শোকের ছায়া নেমে আসে। বাদ আসর জানাজা শেষে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়।   

আরও পড়ুন>>

সিলেটের সড়কে ঝরলো চার ছাত্রলীগ নেতার প্রাণ

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৪
এনইউ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।