ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কেন্দুয়ায় যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর ওপর নির্যাতনের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪
কেন্দুয়ায় যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর ওপর নির্যাতনের অভিযোগ

নেত্রকোনা: নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় যৌতুকের দাবিতে শিক্ষিকা মোছা. রুনা আক্তারকে (৩২) অমানুষিক নির্যাতন ও পেটানোর অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে।

নির্যাতনের শিকার হয়ে শিক্ষিকা রুনা আক্তার বাদী হয়ে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতেই তার স্বামীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

রুনা আক্তার উপজেলার বান্দনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক এবং রিয়াজ আহম্মেদ সিরাজের (৪০) স্ত্রী।

অভিযুক্তরা হলেন- তার স্বামী রিয়াজ আহম্মেদ সিরাজ, শিক্ষিকার ভাশুর মো. অলি উল্লাহ (৪৫)ও বোন শিল্পি আক্তার (৪৭) তারা উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের কচন্দরা গ্রামের আছাব উদ্দিনের ছেলে এবং মেয়ে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রিয়াজ আহম্মেদের সঙ্গে ১০ বছর আগে শিক্ষিকা রুনা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের পরিবারে চারটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে তার স্বামী রিয়াজ, ভাশুর অলি উল্লাহ ও বোন শিল্পি আক্তার যৌতুকের দাবিতে রুনাকে অত্যাচার নির্যাতন করতেন। এ অবস্থায় প্রায় ৭ বছর আগে রুনা আক্তারের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরি হয়। এবং রুনা আক্তারের বেতনের সমস্ত টাকা তার স্বামী এবং পরিবারের লোকজনকে দেন। এর পরেও তারা আরও যৌতুকের টাকা দাবি করে বিভিন্ন সময় রুনাকে মারপিট করতেন। তাদের অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এক বছর আগে সোনালি ব্যাংক, কেন্দুয়া শাখা থেকে চার লাখ টাকা লোন নিয়ে স্বামীকে দেন রুনা। কয়েকমাস আগে আরও ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন তারা।

পরে শনিবার রুনার বাবার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা যৌতুক বাবত এনে দেওয়ার জন্য বলেন তারা। কিন্তু শিক্ষিকা রুনা আর কোনো টাকা দিতে পারবে না বলে জানালে রুনার স্বামী এবং পরিবারের লোকজন তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে 
মারধর করে বলে শিক্ষিকা অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা রুনা আক্তার বলেন, যৌতুকের জন্য আমার স্বামীসহ পরিবারের লোকজন আমাকে প্রায়সময়ই নির্যাতন করতেন। শনিবার আবার মারধর করেছে। আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ নিয়ে কেন্দুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি আশাকরি পুলিশ আমার অভিযোগ আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।

এ বিষয়ে শিক্ষিকা রুনা আক্তারের স্বামী রিয়াজ আহম্মেদের মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।  

কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বলেন, শিক্ষিকা রুনা আক্তার একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। যৌতুকের জন্য তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন তাকে নির্যাতন করেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।