ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সারোয়ার-সোনিয়ার সঙ্গে বাড়ি যাচ্ছে টুবিও

সুব্রত চন্দ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২৪
সারোয়ার-সোনিয়ার সঙ্গে বাড়ি যাচ্ছে টুবিও সারোয়ার-সোনিয়ার সঙ্গে তাদের পোষা বিড়াল টুবি

ঢাকা: পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি যাচ্ছেন সারোয়ার-সোনিয়া দম্পতি। ঈদ ও নববর্ষ মিলিয়ে ছয় দিনের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর পাংশায় যাচ্ছেন তারা।

তবে এবার প্রথমবারের মতো নিজেদের পোষা বিড়াল টুবিকেও সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছেন তারা।

রাজধানীতে বসবাসকারী অনেকেই শখের বসে কুকুর, বিড়াল, কবুতর, খরগোশের মতো প্রাণী পুষে থাকেন। সাধারণ সময়ে তেমন কোনো সমস্যা না হলেও, ঈদের মতো দীর্ঘ ছুটিতে বিপাকে পড়েন এ প্রাণী পালনকারীরা। কারণ দীর্ঘ দূরত্বে কোনো পোষা প্রাণী সঙ্গে নিয়ে যাওয়া সহজ কাজ নয়।  

আবার প্রিয় পোষা প্রাণীকে বাড়িতে একাও রেখে যেতে পারেন না তারা। ফলে দীর্ঘ ছুটির সময় প্রিয় পোষা প্রাণীকে হয় পরিচিত কারো বাসায় রেখে যেতে হয়, নয়তো সঙ্গে কাউকে রেখে যেতে হয়।

তবে এদের বাইরেও একদল প্রাণীপ্রেমী আছেন, যারা নিজের পোষা প্রাণীকে দূরে রেখে যেতে পারেন না, শত কষ্ট হলেও সঙ্গে নিয়ে যান। তেমনই পোষা প্রাণীপ্রেমী এক দম্পতি সারোয়ার-সোনিয়া।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে সারোয়ার-সোনিয়া দম্পতির সঙ্গে দেখা হয় গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে। সারোয়ারের কাঁধে ও হাতে ছিল নিজেদের পোশাকের ব্যাগ, সঙ্গে বিড়াল বহন করার বাক্স। আর টুবি ছিল সোনিয়ার কোলে।

কথা হলে সারোয়ার-সোনিয়া দম্পতি জানান, তারা রাজধানীর নতুনবাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। সারোয়ার চাকরি করেন একটি ফার্মেসিতে আর সোনিয়া একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পড়ছেন।

সারোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, আগে থেকেই প্রাণীদের প্রতি ভালোবাসা ছিল। গ্রামের বাড়িতে অনেকগুলো পোষা বিড়াল আছে তাদের। কিন্তু ঢাকায় কোনো পোষা বিড়াল ছিল না। দুই সপ্তাহ আগে একটি অনলাইন পেজ থেকে ১১ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে পার্সিয়ান ছেলে বিড়ালটি কেনেন তারা। নাম দেন টুবি।

সোনিয়া বলেন, টুবি আমার সন্তানের মতো। তাকে রেখে তো আর যাওয়া যায় না। পরিবারের কোনো সদস্যকে একা রেখে কি আর ঈদ আনন্দ হয়। এ ছাড়া টুবিকে বাড়ির সবাই দেখতেও চাচ্ছে। টুবি একেবারেই দুষ্টুমি করে না। ফলে খুব একটা ঝামেলাও হবে না আশা করি।

ঈদযাত্রায় গত কয়েকদিনের তুলনায় যাত্রীর চাপ বেড়েছে গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে। মঙ্গলবার সকালে গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকা ছেড়ে বাড়ির পথ ধরছেন অনেকে। কেউ একা যাচ্ছেন, তো কেউ পরিবারকে নিয়ে, কেউবা আবার বন্ধুদের সঙ্গে রাজধানী ছাড়ছেন। এ টার্মিনাল থেকে সাধারণত উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীরাই বেশি চলাচল করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২৪
এসসি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।