ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নেত্রকোনায় সড়ক নির্মাণকাজে অনিয়মের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৪
নেত্রকোনায় সড়ক নির্মাণকাজে অনিয়মের অভিযোগ

নেত্রকোনা: নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার সাজিউড়া-গোগ বাজার এবং ব্রাহ্মণজাত-চৌমুরিয়া গ্রামীণ সড়কের নির্মাণকাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে 

সড়কের নির্মাণকাজ এক বছর আগে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, এখনও ২৫ শতাংশ কাজ শেষ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠিও দিয়েছে সংশ্লিষ্ট এলজিইডি।

এ অবস্থায় সঠিক নিয়মে কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, ২০২২ সালের ৮ সেপটেম্বর কেন্দুয়া উপজেলার সাজিউড়া-গোগ বাজার এবং ব্রাহ্মণজাত-চৌমুরিয়া পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার সড়কের কার্যাদেশ দেওয়া হয় মেসার্স রিয়াজ উদ্দিনকে। এক বছর কাজের সময় সীমা শেষ করার কথা থাকলেও, এখনও ২৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়নি। ঠিকাদার সড়কের ২৫ শতাংশ কাজ বাস্তবায়ন করলেও, সেখানে রয়েছে অনিয়মের নানা অভিযোগ। সড়কটির সাব বেইজের কাজের জন্য যে সব কংক্রিট দেওয়া হয়েছে, তাতে মাটির পরিমাণ বেশি থাকায় তার সাব বেইজে ব্যবহার করতে দেয়নি স্থানীয়রা। ফলে রাস্তার পাশে দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই পরে রয়েছে নিম্নমানের এসব ইটের শুড়কি। সাজিউড়া, ব্রাহ্মণজাত, রাঘবপুর, বিষ্ণপুর, জালালপুর, বাঘমারা কমপক্ষে ২০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ এই সড়ক দিয়ে তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিপণনসহ যাতায়াতের জন্য এক মাত্র এই সড়কটি। সড়কটির জন্য পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না কৃষকেরা। সড়কটিতে সঠিকভাবে নিয়ম মতো কাজ বাস্তবায়ন করার জন্য এলাকাবাসী মানববন্ধন করেও কোনো সুরাহা পায়নি। তাই এ বিষয়ে সুদৃষ্টি দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।  

সড়কটির কাজের অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে জানতে ঠিকাদারের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

কেন্দুয়া উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, অভিযোগের সত্যতা পেয়ে কাজ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।