ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফরিদপুরে ৪ মামলায় বিএনপি নেতাসহ গ্রেপ্তার ৬৭

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২৪
ফরিদপুরে ৪ মামলায় বিএনপি নেতাসহ গ্রেপ্তার ৬৭

ফরিদপুর: সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কার দাবিতে আন্দোলনকে ঘিরে ফরিদপুরে কয়েকটি সহিংসতার ঘটনায় মোট চারটি মামলা হয়েছে। আর এ চার মামলায় বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) পর্যন্ত ৫২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

 

এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুজনকে। এছাড়া ওই চার মামলার আসামি ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে এ পর্যন্ত আরও ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ পর্যন্ত কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সর্বমোট ৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে বেশির ভাগই বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী।  

ফরিদপুরে ওই চারটি মামলার মধ্যে দুটি সদরপুর থানায় এবং ভাঙ্গা ও কোতোয়ালি থানায় একটি করে হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট থানা সূত্রে জানা গেছে, সদরপুর সরকারি কলেজ এলাকায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে গত ১৮ জুলাই দায়ের করা মামলার বাদী ওই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. তানভীর। এ মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ‘আরও অনেককে’ আসামি করা হয়।  

সদরপুর থানায় দ্বিতীয় মামলাটি হয় গত ২০ জুলাই। উপজেলার কৃষ্ণপুর বাজার এলাকায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এ মামলার বাদী এসআই মো. রিপন। এ মামলায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে।

কোতোয়ালি থানায়ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়। থানা সূত্রে জানা গেছে, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে গত ১৯ জুলাই। এ মামলার বাদী এসআই শ্রীবাস চক্রবর্ত্তী। এ মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে, ভাঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে গত ২০ জুলাই। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের সুয়াদী এলাকায় মহাসড়কে আগুন দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার অভিযোগে। এ মামলার বাদী এসআই মোশাররফ হোসেন। এ মামলায় ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২১ জনকে। এর মধ্যে রয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফরিদপুরের দুই সমন্বয়ক শাহ মো. আরাফাত ও জনি বিশ্বাস। এছাড়া বেশির ভাগই বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী।  

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানা পুলিশের এসআই মাহবুবুর করিম বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া আরাফত ও জনি ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী। তবে মামলায় অন্যদের মধ্যে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হাসান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলী কাজী রয়েছেন।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শৈলেন চাকমা (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বাংলানিউজকে বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরে সহিংসতা, পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে জেলার ভাঙ্গায় একটি, সদরপুরে দুটি ও কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলা ছাড়াও আরও কয়েকটি মামলায় এ পর্যন্ত ৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া এসব ঘটনায় বাকি জড়িতদের খুঁজে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।