ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সাংবাদিক-পুলিশ একে অন্যের পরিপূরক: ডিএমপি কমিশনার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪
সাংবাদিক-পুলিশ একে অন্যের পরিপূরক: ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা: ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান বলেছেন, সাংবাদিক ও পুলিশ একে অন্যের পরিপূরক। সমাজে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষাই আমাদের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ক্র্যাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন।  

মো. মাইনুল হাসান বলেন, আমি এক ক্রান্তিকালে ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্বভার নিই। খুব অল্প সময়ের মধ্যে সশস্ত্র বাহিনী, সাংবাদিক, বিভিন্ন সংস্থা ও নগরবাসীর সহযোগিতায় বর্তমান অবস্থায় আসতে পেরেছি।  

তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশের অন্যতম পূর্বশর্ত। বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশের মনোবল বাড়ানো এবং ডিএমপির ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা দ্রুত সংস্কার করে নগরবাসীকে সর্বোচ্চ পুলিশি সেবা দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।  

ডিএমপি কমিশনার বলেন, জনগণ এক শক্তি, সে শক্তির সঙ্গে পুলিশের উপস্থিতি যুক্ত হলে যেকোনো অপরাধ প্রতিরোধ করা সম্ভব। রাজপথে শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য পুলিশ রাত-দিন কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা পালন করতে হবে।

ক্র্যাবের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশ আইন ও বিধি অনুযায়ী কাজ করে। অন্যদিকে সাংবাদিকরা তাদের লেখনির মাধ্যমে সমাজকে অপরাধমুক্ত করতে পুলিশকে সহযোগিতা করেন। এভাবে পুলিশ ও সাংবাদিক মিলে কাজ করলে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্থানে যেতে পারব।  

তিনি বলেন, আমরা সম্মানিত মহানগরবাসীর জন্য ভালো কিছু করতে চাই। আপনারা আমাদের ভালো কাজ দেখলে প্রশংসা করবেন আর আমাদের কাজ করতে গিয়ে কোথাও ভুল-ত্রুটি হলে তা তুলে ধরবেন। তবে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে কোনো আপস করা যাবে না। এ ধরনের সংবাদ পুলিশের দক্ষতা, যোগ্যতা এবং উৎকর্ষতাকে অধিকতর শানিত করতে সহায়তা করে।

মতবিনিমিয় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, মামলা যথাযথভাবে তদন্তপূর্বক প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। ডিএমপির সঙ্গে ক্র্যাবের যেসব কর্মসূচি রয়েছে, সেগুলো অব্যাহত থাকবে।

মতবিনিময় সভায় ক্র্যাবের সভাপতি কামরুজ্জামান খান বলেন, ডিএমপির সঙ্গে ক্র্যাবের বন্ধন অনেক পুরোনো। যেকোনো প্রয়োজনে আমরা আপনাদের সহযোগিতা পেয়ে থাকি। পুলিশের অনুপস্থিতিতে অপরাধীরা সুযোগ নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে পুলিশকে আরও বেশি দৃশ্যমান হতে হবে।  

জনগণের আস্থা ফেরাতে ঢাকা মহানগর এলাকায় আগের মতো ওপেন হাউজ ডে, বিট পুলিশিং, কমিউনিটি পুলিশিং, পুলিশি টহল ও তৎপরতা বাড়াতে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।  

ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার অনুরোধ করেন, যাতে নিরপরাধ কেউ অহেতুক হয়রানির শিকার না হয়।

সভার শুরুতে ডিএমপি কমিশনার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আত্মদানকারী শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা ও তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। একইসঙ্গে স্মরণ করেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রাণ উৎসর্গকারী ও আহত পুলিশ সদস্যদের। এ সময় অন্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪
এজেডএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।