ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভরা মৌসুমেও লক্ষ্মীপুরে ইলিশের দাম চড়া

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪
ভরা মৌসুমেও লক্ষ্মীপুরে ইলিশের  দাম চড়া

লক্ষ্মীপুর: ভরা মৌসুমেও লক্ষ্মীপুরের বাজারগুলোতে রুপালি ইলিশের সংকট রয়েছে। ফলে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ।

এতে সাধারণ ক্রেতারা ইলিশের স্বাদ নিতে পারছেন না।  

যাদের সাধ্য আছে, তারা অতিরিক্ত দামেই কিনছেন ইলিশ। আবার কেউ কিছুটা কম দামে জাটকা দিয়েই ইলিশের স্বাদ নিচ্ছেন।

জেলে এবং বিক্রেতারা বলছে, ভরা মৌসুমেও মেঘনা নদীতে মাছের আকাল তাই দামও বেশি।

লক্ষ্মীপুরের জেলা শহরে দক্ষিণ তেমুহনীতে রাতের বেলা ইলিশের হাট বসে। বড় এ হাটটিতে ভরা মৌসুমেও ইলিশের উপস্থিতি অনেক কম। তাই চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই অনেক চড়া দামে এ হাটে ইলিশ বিক্রি হতে দেখা গেছে।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিক্রেতারা প্রতিটি এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম হাঁকাচ্ছেন ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকার মধ্যে। ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ১৫০০ টাকার মধ্যে। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ১২০০ টাকা, আধা কেজি ওজনের ইলিশ হাজার টাকায়, ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৭০০ টাকা এবং ২০০ থেকে আড়াইশ গ্রাম ওজনের জাটকার দাম সাড়ে পাঁচশ থেকে ছয়শ টাকার মধ্যে। অনেক ক্রেতাই দাম শুনে ইলিশ না কিনে খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন।

বাজারে ইলিশ কিনতে আসা সেলিম মিয়া বলেন, দাম তো অনেক বেশি। এখন তো ইলিশের ভরপুর মৌসুম, কিন্তু বাজারে মাছের পরিমাণ কম। তাই বাধ্য হয়ে বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে।

সুমন দাস নামে আরেক ক্রেতা বলেন, চড়া দামের কারণে আমাদের সাধ্যের বাইরে চলে গেছে রুপালি ইলিশ। মৌসুমের শুরুতেই দাম অনেক চড়া ছিল। এখন তো ভরপুর মৌসুম, এরপরেও দাম বেশি।

শরীফ নামে একজন বিক্রেতা বলেন, ঘাটে ইলিশের দাম বেশি। আমাদের চড়া দাম দিয়ে ঘাট থেকে কিনে আনতে হয়। সে হিসেবে খুচরা বাজারে আমরা দাম নির্ধারণ করি।

তিনি জানান, নদীতে ইলিশের সংকট থাকায় জেলেদের ইলিশ শিকারে খরচ বেশি পড়ে। তাই সে হিসেবে ঘাটে দাম নির্ধারণ করা হয়৷

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।