ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নির্বাচন দিতে কেন দুবছর লাগবে প্রশ্ন শামসুজ্জামান দুদুর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪
নির্বাচন দিতে কেন দুবছর লাগবে প্রশ্ন শামসুজ্জামান দুদুর

ঢাকা: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, যে জাতি এক মাসের মধ্যে ১৬ বছরের জঞ্জাল শেষ করতে পারে, তাড়াতে পারে তাহলে নির্বাচন দিতে কেন দুবছর লাগবে? আপনি পরশুদিন ভোট দেন দেখবেন চমৎকার নির্বাচন হয়ে গেছে।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচা কচি কাঁচার মেলায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোটের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার নাগরিক প্রত্যাশা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

দুদু বলেন, নীড় টা ছোট কিন্তু আকাশটা অনেক বড়। সরকার ছোট কিন্তু দেশের জনগণ অনেক বড়। এটা যদি সরকার মাথায় নেয় তাহলে সব ঘটনার মীমাংসা তাৎক্ষণিক সম্ভব। যে জাতি এক মাসের মধ্যে ১৬ বছরের জঞ্জাল শেষ করতে পারে, তাড়াতে পারে তাহলে কেন দুবছর লাগবে নির্বাচন দিতে? আপনি পরশুদিন ভোট দেন দেখবেন চমৎকার নির্বাচন হয়ে গেছে। কারণ হাসিনা তো দেশে নেই। হাসিনা থাকলে তার পুলিশ থাকবে। হাসিনা থাকলে তার দোসররা থাকে। হাসিনা নাই খারাপ লোকটাও এখন ভালো হওয়ার চেষ্টা করবে।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র-যুবক-তরুণরা অসাধ্যকে সাধন করেছে। আমরা কেন তাদের ওপর নির্ভর করবো না? তারাই নির্বাচনে পাহারা দিবে। দেশের সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, সংস্কারের কথা হচ্ছে। কীসের সংস্কার? চোরেরা লুটেরা যেখানে বসেছিল সেখানেই বসে আছে। এদের সরাতে গেলে তো ১৫ বছর লাগবে। তাহলে ১৫ বছর নির্বাচন হবে না? আগে নির্বাচনটা করেন। জনগণ কম বোঝে না। আপনার রাজনীতি করেননি। আপনাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আপনাদের ওপর বিশ্বাসও আস্থা আছে। আপনারা কাজ করেন।  

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশবাসী বিকল্প প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছেন বলে আমি মনে করি। কারণ তার ব্যক্তিত্ব, উদারতা তার লক্ষ্য, ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে তার ব্যাখ্যা এটাকে এক কথায় চমৎকার ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। তারেক রহমানকে ঠেকানোর জন্য অনেকে চেষ্টা করেছে। বিএনপিকে শেষ করার জন্য অনেকে চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো লাভ হবে না। দেশবাসী বিএনপিকে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। সেই ভোটটা ঠেকায় দিবেন পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ও আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র করার জন্য এটা হবে না।

আয়োজক সংগঠনের প্রধান সমন্বায়ক রেজাবুদৌলা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, ড. সুকমল বড়ুয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কৃষক দলের নেতা সাদি, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন, মোখতার আখন্দসহ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২২২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪
টিএ/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।