ঢাকা: রাজধানীর ধানমন্ডির শুক্রাবাদে একটি বাসায় গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধের ঘটনায় নিপা আক্তার (৩৫) নামে আরও একজন মারা গেছেন। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত দুজন মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসক।
বুধবার (২ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান তিনি। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলাম।
ডা. তরিকুল জানান, শুক্রাবাদে তিনজন দগ্ধের ঘটনায় নিপা নামে একজন মারা গেছেন। তার শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে মঙ্গলবার রাতে নিপার স্বামী টোটন (৩৫) মারা যান। বর্তমানে নিপার ছেলে বায়েজিদ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
গত শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে শুক্রাবাদ ২৭ নম্বর রোডের বাজার মসজিদের পাশের গলির একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন-কারওয়ান বাজার মৎস্য আড়তের শ্রমিক টোটন (৩৫ ), তার স্ত্রী নিপা আক্তার (২৪) ও সাড়ে ৩ বছরের ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী বায়েজিদ।
দগ্ধ নিপার মা রেহানা বেগম জানান, তাদের বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার কাচারিকান্দি গ্রামে। নিপার বাবার নাম আবুল হোসেন। চলতি মাসের ১ তারিখেই শুক্রাবাদ বাজার মসজিদের পাশে একটি বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া উঠে ছিলেন টোটন-নিপা দম্পতি। নিপার স্বামী টোটন কারওয়ান বাজারে মৎস্য আড়তে কাজ করেন। আর নিপা অন্যের বাসাবাড়িতে কাজ করেন। তবে বড় দুই ছেলে-মেয়ে গ্রামে দাদা-দাদির কাছে থাকে। ছোট ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী বায়েজিদ বাবা মায়ের সঙ্গে ওই বাসায় থাকতো।
তিনি জানান, ভোর পাঁচটার দিকে নিপা নিজেই ফোন দিয়ে তাকে জানান, তাদের বাসায় আগুন লেগেছে। তাদের শরীরও পুড়ে গেছে। তাদের দ্রুত বাঁচানোর আকুতি জানান। এর বেশি আর কিছু বলতে পারেনি তখন৷ পরবর্তীতে ওই বাড়িওয়ালা এবং প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন। বাসায় গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে এ আগুন লাগতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২৪
এজেডএস/জেএইচ