ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পার্বত্য চট্টগ্রামে কার্নেল দানা মিশ্রিত খাবার সরবরাহ করতে চায় ডব্লিউএফপি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০২৪
পার্বত্য চট্টগ্রামে কার্নেল দানা মিশ্রিত খাবার সরবরাহ করতে চায় ডব্লিউএফপি

ঢাকা: বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) পার্বত্য চট্টগ্রামে পাইলট প্রকল্প হিসেবে ২৫ হাজার উপকারভোগীর মাঝে মাল্টিমিনারেল সমৃদ্ধ কার্নেল দানা মিশ্রিত খাবার সরবরাহের উদ্যোগ নিতে চায়।

রোববার (৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার অফিস কক্ষে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) প্রতিনিধিদল পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার সাথে সাক্ষাৎ করে এ আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।

 

উপদেষ্টা ডব্লিউএফপি’র এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ডব্লিউএফপি পার্বত্য চট্টগ্রামে পাইলট প্রকল্প হিসেবে ২৫ হাজার উপকারভোগীর মাঝে মাল্টিমিনারেল সমৃদ্ধ কার্নেল দানা মিশ্রিত খাবার সরবরাহের উদ্যোগ নিতে চায়। কার্নেল খাদ্যের মানকে সমৃদ্ধ করে, যার মধ্যে থাকবে প্রচুর মাল্টিমিনারেল শক্তি।  

প্রতিনিধিদল জানান, ১শ গ্রাম চালের মধ্যে ১০টি দানা কার্নেল মিশ্রণ করে খিচুড়ি তৈরি করা হলে এ খাদ্য মাল্টিমিনারেল শক্তিসমৃদ্ধ খাদ্যে পরিণত হবে। যার মধ্যে পাওয়া যাবে প্রচুর আয়রন ও আয়োডিনসহ অন্যান্য উপাদান।  

ডব্লিউএফপি প্রতিনিধি দল এ বিষয়ে পার্বত্য উপদেষ্টাকে অবহিত করেন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে এ পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।  

ডব্লিউএফপিএ’র প্রতিনিধিদল এ সংক্রান্ত বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উপদেষ্টার সহযোগিতা চান।

উপদেষ্টা ও সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা ডব্লিউএফপি’র এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন কমিউনিটির মানুষ বাস করে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সৌন্দর্য উপভোগ ও সেখানকার মানুষের চাহিদা না বুঝে কোনো প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম এলাকাগুলোতে যেসব পাড়া সেন্টার রয়েছে, সেগুলো পরিদর্শন করে সেখানকার গর্ভবতী নারী, কিশোরী ও শিশুদের কার্যক্রম, ছাত্র-ছাত্রী, এবং ওখানকার মানুষ দুযোর্গ মোকাবিলা কীভাবে করছে তারও পর্যবেক্ষণের দরকার আছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা ও সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা।  

ডব্লিউএফপি’র এ ধরনের প্রকল্প বাংলাদেশের মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং  দু‌যোর্গ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে বাস্তবায়ন করার পরামর্শ দেন তিনি।

পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, যুগ্মসচিব কংকন চাকমা, যুগ্মসচিব সজল কান্তি বনিক এসময় উপস্থিত ছিলেন।

ডব্লিউএফপি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. ডমেনিকো স্ক্যালপ্যাল্লি’র নেতৃত্বে এসময় ডব্লিউএফপি বাংলাদেশের সিনিয়র পার্টনারশীপস এডভাইজার মো. মহসিন, হেড অব ফিল্ড অপারেশন মিজ হাফিজা খান, প্রোগ্রাম পলিসি অফিসার মিজ মাসিং নেওয়ার ও হেড অব ডব্লিউএফপি সাব-অফিস রাঙামাটির প্রোগ্রাম অফিসার ইলোরা চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০২৪
এসকে/এএটি   

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।