ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘প্রযুক্তি জ্ঞান দেশে উন্নত ও নিরাপদ নগর প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২৪
‘প্রযুক্তি জ্ঞান দেশে উন্নত ও নিরাপদ নগর প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে’

ঢাকা: প্রযুক্তিগত জ্ঞান, উৎকর্ষ ও তরুণদের উদ্যোগ আর প্রবীণ অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান আমাদের দেশে উন্নত ও নিরাপদ নগর প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (অক্টোবর ০৭) ‘বিশ্ব বসতি দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ প্রত্যাশার কথা জানান।

 

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে যথাযথ মর্যাদায় বিশ্ব বসতি দিবস-২০২৪ উদযাপিত হতে যাচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। বিশ্বব্যাপী মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতিসংঘ প্রতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব বসতি দিবস হিসেবে উদযাপন করে আসছে। ’

বিশ্ব বসতি দিবসের প্রতিপাদ্য ‘Engaging youth to create a better urban future’ যার ভাবার্থ হচ্ছে ‘তরুণদের সম্পৃক্ত করি, উন্নত নগর গড়ি’ এর প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ প্রতিপাদ্যটি অত্যন্ত সময়োপযোগী ও যথার্থ বলে আমি মনে করি। ’
 
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার। বর্তমান সরকার মানুষের বাসস্থানসহ এ মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর। উন্নয়নশীল দেশের অনেক শহরের মতোই বাংলাদেশের শহর বা নগরগুলো এখনো অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই নগর উন্নয়ন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারেনি। দারিদ্র্য, বৈষম্য, দুর্নীতি, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা, নাগরিক নিরাপত্তাহীনতা, পরিবেশগত বিপর্যয় তথা জলবায়ু পরিবর্তনের নানা অভিঘাতে ভুগছে এদেশের ছোটো-বড় বিভিন্ন শহর। ’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘দেশের উন্নয়নকে বেগবান ও টেকসই করার লক্ষ্যে এ সব প্রতিকূলতাকে নির্মূল করার জন্য সরকার সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ’

তরুণদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘তারুণ্য শক্তি, সাহস ও পরিবর্তনের প্রতীক। বৈষম্যহীন, শোষণহীন ও কল্যাণকর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার বিগত দিনের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়াই প্রমাণ করে যে তারুণ্যকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারে না। ’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এখনকার তরুণেরা অনেক বেশি আধুনিক, প্রযুক্তি ব্যবহারে অগ্রগামী। তরুণদের অদম্য মেধা, পরিশ্রম, ঐকান্তিক নিষ্ঠা আর সততা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের নতুন আলোয় উদ্ভাসিত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। ’

বাংলাদেশ সময়: ০১১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২৪
এমইউএম/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।