সুনামগঞ্জ: কোনো কারণ ছাড়াই গত সোমবার বন্ধ ছিল সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বড়দল উচ্চ বিদ্যালয়। এ ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে শো-কজ করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রফিকুল ইসলামকে শো-কজ করে আগামী সোমবারের (১৪ অক্টোবর) মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, গত সোমবার তাহিরপুরের বড়দল উচ্চ বিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। কিন্তু সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত স্কুল তালাবন্ধ করে রাখা হয়। এ সময় স্কুলে কোনো শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছিল না।
এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। অনেকেই জানেন না কেন স্কুলটি বন্ধ ছিল। শিক্ষার্থীদের অনেক অভিযোগ আবার প্রধান শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসীর জানিয়েছে, তাহিরপুরের বড়দল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাববিস্তার করে নিয়মিত স্কুল কামাই করতেন তিনি। উনার গ্রামের বাড়ি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ধনপুর ইউনিয়নে। নানা অনিয়মে জড়িত রফিকুল ইসলাম নিজেকে অনেক ক্ষমতাধর মনে করতেন। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভোল পাল্টে এখন বিএনপিসহ অন্যান্য দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আঁতাত শুরু করেছেন।
শো-কজের বিষয়ে কথা হলে রফিকুল ইসলাম বলেন, পেয়েছি। সময় হলে জবাব দেব।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষক শো-কজের জবাব দিলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হাসেম বলেন, স্কুল বন্ধ রাখার কোনো কারণ হয়ত ছিল। তবে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, জাতীয় পতাকা ওড়ানোর পরও স্কুল বন্ধ রাখার বিষয়টি সাংবাদিকরা জানতে পেরে প্রধান শিক্ষকের কাছে কারণ জানতে চেয়েছিলেন। রফিকুল ইসলাম প্রথম গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে রুঢ় আচরণ করেন। তিনি প্রথমে বলেন, আমি ছুটিতে ছিলাম। স্কুল বন্ধের কারণ জানি না। পরে আবার বলেন, উপজেলায় খেলা ছিল। এক শিক্ষকসহ আমি সেখানে ছিলাম।
স্কুল বন্ধ- এমন ভিডিও ভাইরাল হয়েছে বলা হলে তিনি বলেন, আরও ভাইরাল করেন। দেখি কি করতে পারেন। আমি স্কুলে গিয়ে দেখব কি করতে পারি। পরে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের দেখে নেওয়ারও হুমকি দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২৪
এমজে