ঢাকা: আজ বৃহস্পতিবার শারদীয় দুর্গাপূজার মহাসপ্তমী। সব মন্দিরেই ভোর থেকে সপ্তমী পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর পূরাণ ঢাকার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, আজ শারদীয় দূর্গোৎসবের দ্বিতীয় দিন। এদিন মণ্ডপে মণ্ডপে নেমেছে ভক্তদের ঢল। ঢাক, কাঁসর, ঘণ্টা, শঙ্গ এবং উলুধ্বনিতে মুখরিত প্রতিটি মণ্ডপ। শিল্পীদের রংতুলির ছোঁয়া, বিভিন্ন কারুকাজ ও নানা আলোকসজ্জায় উৎসবের সাজে সেজেছে প্রতিটি মন্ডপ। ধূপ-আগরবাতির গন্ধ মোহিত করে তুলেছে আঙিনা। বর্ণিল সাজসজ্জা, হইচই আর মহা ধুমধামের যেন শেষ নেই। প্রতিটি পূজাস্থলে চলছে চন্ডী পাঠ। ভক্তদের পূজা- আর্চনা, দেবী-দর্শন, দেবীর পায়ে ভক্তদের পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ গ্রহণের মাধ্যমে দিনব্যাপী চলেবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা। সকালে পূজার জন্য মন্ডপে ভীর থাকলেও বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলবে প্রতিমা দর্শন। সে সময় ভোক্তাদের ভীর বেড়ে যাবে কয়েক গুণ।
এর আগে গতকাল বুধবার মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয় শারদীয় দুর্গোৎসবের দুর্গাপূজা। ১৩ অক্টোবর রোববার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসবের।
সনাতনী শাস্ত্র অনুযায়ী, সনাতন ধর্মীয় বিশ্বাস মতে ভক্তদের কষ্ট দূর করতে চলতি বছর দেবী দুর্গা এসেছেন দোলায় বা পালকিতে চড়ে, আর বিজয়া দশমীর দিন ঘোটকে বা ঘোড়ায় মর্ত্যলোক ছেড়ে কৈলাসে চলে যাবেন।
এ বছর দেবী দুর্গার আগমন হবে দোলায় বা পালকিতে। পালকি বা দোলায় দেবীর আগমন বা গমন হলে এর ফল হয় মড়ক। খাদ্যশস্যে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ হবে ও রোগব্যাধি বাড়বে। এছাড়া দেবী স্বর্গে গমন করবেন ঘোটকে বা ঘোড়ায়। শাস্ত্রমতে দেবীর গমন বা আগমন ঘোটকে হলে ফলাফল ছত্রভঙ্গ হয়। সেই নিরিখে ২০২৪ সালে দেবীর গমন ঘোড়ায় হওয়ার জেরে ফলাফল ছত্রভঙ্গ হতে পারে। শাস্ত্রমতে এই ঘোটকে গমনের ফলে সামাজিক ও রাজনৈতিক এলোমেলো অবস্থাকে ইঙ্গিত করে। এটি যুদ্ধ, বিগ্রহ, অশান্তি, বিপ্লবের ইঙ্গিত দিয়ে থাকে।
এদিকে আগামীকাল শুক্রবার মহাঅষ্টমী আর শনিবার হবে মহানবমীর পূজা। পঞ্জিকা মতে, এবার মহানবমী পূজার পরই রোববার দশমী বিহিত পূজা হবে। এবার দেশের ৩১ হাজার ৪৬১টি মন্দির ও মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর মহালয়ার মাধ্যমে দেবীপক্ষ ও শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্নের শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০,২০২৪
জিসিজি/এমএম