ঢাকা: বাংলাদেশের তরুণ শিল্পীদের আঁকা চিত্রকর্ম নিয়ে আয়োজিত ‘আর্টিভিজম ফর পিস’ চিত্র প্রদর্শনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকাস্থ নরওয়ে দূতাবাসের সহায়তায় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) যৌথভাবে ‘পার্টনারশিপস ফর এ মোর টলারেন্ট, ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ (পিটিআইবি)’ প্রকল্পের আওতায় একটি সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বাংলাদেশ গঠনের উদ্দেশ্যে ৩০ জন তরুণ শিল্পী নিয়ে সংঘটিত একটি কর্মশালা শেষে প্রদর্শনীটি আয়োজন করা হয়।
রোববার (১৩ অক্টোবর) ইউএনডিপি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
কাশফুল ফাউন্ডেশনের সহায়তায় আয়োজিত দিনব্যাপী চিত্র প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হাসান আল শাফি ও রাশেদা রওনক খান এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের হেড অব কমিউনিকেশনস মো. আব্দুল কাইয়ুম এবং প্রজেক্ট ম্যানেজার ফয়সাল বিন মজিদ।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী তরুণ চিত্রশিল্পী এবং সারা দেশ থেকে সংগৃহীত শিল্পকর্ম থেকে নির্বাচিত ৩৫টি প্রদর্শনীতে প্রদর্শন করা হয়।
শান্তিপূর্ণ, সহনশীল ও সম্প্রীতির যে সুদীর্ঘ ঐতিহ্য বাংলাদেশের, সেটিকে ধরে রেখে ইতিবাচক পরিবর্তনে মানুষকে অনুপ্রাণিত করাই ছিল এই প্রদর্শনীর মূল লক্ষ্য।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী ৩০ জন শিল্পীর যৌথ শিল্পকর্ম ‘কোলাবোরেটিভ পিস ম্যুরাল’ ছিল প্রদর্শনীর অন্যতম আকর্ষণ। প্রদর্শনীতে বিপুল সংখ্যক দর্শকের সমাগম হয়, যারা এই চিত্রকর্মগুলো দেখে অনুপ্রাণিত হন। প্রতিটি চিত্রকর্মের সঙ্গে থাকা বর্ণনা পড়ে দর্শনার্থীরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সহনশীল বাংলাদেশের জন্য তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাদের মতে, প্রদর্শনীটি তাদের জুলাই-আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশের আদর্শকে পুনরুজ্জীবিত করার একটি সুযোগ এনে দিয়েছে।
চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী পর্বে অধ্যাপক শাফি তরুণদের এই ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তন নিশ্চিত করতে এই ধরনের উদ্যোগের ভূয়সী প্রসংশা করে অধ্যাপক রওনক বলেন, সারা দেশে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
অধ্যাপক রওনকের বক্তব্যের সূত্র ধরে আবদুল কাইয়ুম বলেন, তরণদের সৃষ্টিশীল কর্মের মাধ্যমে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তন তরান্বিত করতে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় প্রদর্শনীর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৪
টিআর/এমজেএফ