ঢাকা: জালিয়াতি করে পাসপোর্ট করার অভিযোগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজির আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা ১ এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের সাবেক পরিচালক মো. ফজলুল হক, সাবেক পরিচালক মুন্সী মুয়ীদ ইকরাম, জার্মান কোম্পানি, ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের টেকনিক্যাল ম্যানেজার মোছা. সাহেনা হক ও পাসপোর্টের পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
জানা গেছে, বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী জিশান মীর্জা এবং তাদের দুই মেয়ের নামে পাঁচটি পাসপোর্ট রয়েছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করায় এর আবেদন থেকে শুরু করে বিতরণ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালকসহ আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার ও র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।
অনুসন্ধানে এখন পর্যন্ত বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে ঢাকায় মোট ১২টি ফ্ল্যাট, বিভিন্ন জেলায় ৬৯৭ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার, ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও তিনটি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) পাওয়া গেছে। এসব সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের ওই আদেশ আসার আগেই গত ৪ মে বেনজীর আহমেদ দেশ ছাড়েন।
বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিপুল সম্পদের তথ্য প্রকাশের মধ্যেই মিথ্যা তথ্য দিয়ে তার পাসপোর্ট করার খবর প্রকাশিত হয়েছে। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বেনজীর আহমেদ পুলিশ বাহিনীর বড় পদে থেকেও পাসপোর্ট নিয়েছেন বেসরকারি চাকরিজীবী হিসেবে, যা সরকারি চাকরিবিধি ও পাসপোর্ট আইনে অপরাধ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৪
এসএমকে/এমজেএফ/এমজে