ঢাকা: ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। নূরনবী (৪৭) নামের ওই ব্যক্তি ব্যাটেলিয়ন আনসারে কর্মরত ছিলেন।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে তার স্ত্রী ফাতেমা তুজ জোহরা ও ছেলে তাজনুর সিফাতের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহত নূরনবীর স্ত্রী জানান, তাদের বাড়ি নোয়াখালী সদর উপজেলার পূর্বঅশ্বদিয়া গ্রামে। নূরনবীর বাবার নাম আব্দুর রব। ঘটনার সময় তার স্বামী যাত্রাবাড়ী থানায় ডিউটিতে ছিলেন।
তিনি জানান, তার স্বামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিলেন। গত ১৯ জুলাই তাকে গাজীপুরের সফিপুরে বদলি করা হয় এবং ২ আগস্ট তাকে যাত্রাবাড়ী থানায় ডিউটি দেওয়া হয়। ৫ আগস্টে কেবল একবার তার সঙ্গে পরিবারের কথা হয়। তারপর থেকেই তাকে আর পাওয়া যায়নি।
ফাতেমা তুজ জোহরা আরও বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে নূরনবীর লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তার লাশ বিকৃত অবস্থায় ছিল। পরিচয় নিশ্চিত হতে আমার ও আমার ছেলের ডিএনএ স্যাম্পল নিয়েছিল। সেই ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়ে আজ লাশ বুঝিয়ে দিয়েছে।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোর্শেদ আলী জানান, মরদেহের সঙ্গে স্বজনদের ডিএনএ নমুনা মিলে যাওয়ায় লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে মরদেহটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নিহত নূরনবী আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্য ছিলেন। এর আগে গত ৭ আগস্ট সকাল ৭টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানার ভেতর থেকে ওই ব্যক্তিকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা উদ্ধার করে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে সেখান থেকে মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয় বলে জানান এসআই মোর্শেদ।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৪
এজেডএস/এমজেএফ