ঢাকা: বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া ও তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ৩২ ঘণ্টা অবরোধের পর জল কামানের মুখে সড়ক ছেড়েছে জেনারেশন নেক্সট লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা। ফেরার সময় তারা অন্তত অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাংচুর করে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল ত্রি-মোড় এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে জেনারেশন নেক্সট লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা। সারাদিনই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
পরে বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে পুলিশের জলকামান নিয়ে এসে পানি ছুড়তে শুরু করলে মহাসড়ক ছেড়ে যায় শ্রমিকরা।
জামগড়া থেকে চন্দ্রামুখী ট্রাক চালক রিয়াদ বলেন, পুলিশের ধাওয়া খেয়ে শ্রমিকরা পালিয়ে যাওয়ার সময় লাঠি ও ইট দিয়ে গাড়ি ভাংচুর করেছে। অনুরোধ করা হলেও তারা কথা শোনেনি।
কাভার্ড ভ্যান চালক জাহাঙ্গীর বলেন, আমরা প্রায় ১৬ ঘণ্টা শ্রমিক অবরোধের মুখে আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়কের বগাবাড়ি এলাকায় আটকে ছিলাম। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে শ্রমিকরা সড়ক ছেড়ে জামগড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তারা লাঠি ও ইটপাটকেল দিয়ে গাড়ির কাঁচ ভাংচুর করে। অন্তত ৫০ টিরও বেশি গাড়ি ভাংচুর করেছেন তারা।
এর আগে শ্রমিকরা জানায়, প্রায় তিন মাসের বকেয়া বেতন না দিয়ে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। মালিকপক্ষ একাধিকবার সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু কথামত কাজ করেনি তারা। এছাড়া কারখানার স্টাফদেরও বেতন দেয় না কর্তৃপক্ষ। আমরা বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া ও বকেয়া বেতনের দাবিতে সোমবার সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে রাখি। বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে পুলিশ জলকামান দিয়ে পানি ছুড়লে আমরা সরে আসি।
গাড়ি ভাংচুরের ব্যাপারে তারা কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।
এ ব্যাপারে কথা বলতে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলমের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হয়। তিনি কলি রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২৪
এমজে