ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সাবেক ডেপুটি স্পিকার টুকু তার ছেলে ও ভাইয়ের নামে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৪
সাবেক ডেপুটি স্পিকার টুকু তার ছেলে ও ভাইয়ের নামে মামলা শামসুল হক টুকু, তার ভাই আব্দুল বাতেন ও ছেলে এস এম আসিফ শামস রঞ্জন

পাবনা: সাবেক ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু, তার ছেলে বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র এস এম আসিফ শামস রঞ্জন এবং টুকুর ছোট ভাই সাবেক মেয়র আব্দুল বাতেনসহ ১১ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।

পাবনার বেড়ায় দখল, চাঁদাবাজি, অর্থ আত্মসাৎ ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে বুধবার (৩০ অক্টোবর) দ্রুত বিচার ৩/৪ ধারা আইনে পাবনা আমলি আদালত-১-এ মামলাটি করা হয়।

মামলার বাদী বেড়া পৌর সদরের বৃশালিখা মহল্লার বাসিন্দা মির্জা মেহেদি হাসান। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী এবং বেড়া পৌরসভার এক নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন শাহীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি বলেন, পাবনা আমলি আদালত-১ এর বিচারক মোরশেদুল আলম মামলাটি আমলে নিয়ে বেড়া মডেল থানাকে এফআইআর হিসেবে নথিভুক্ত করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। যেহেতু অভিযুক্ত বাদীর সম্পদ দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে দখল করে রেখেছিলেন তারা। এই দীর্ঘ সময়ে বাদীর আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটি টাকা হয়েছে। এ বিষয়ে পাবনা আমলি আদালত- ১ এর বিচারকের কাছে লিখিতভাবে দিলে আদালতের বিচারক অভিযোগ নথিভুক্ত করেছেন।  

মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন, অভিযুক্তরা ২০১৪ সালের ৬ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অস্ত্র নিয়ে বৃশালিখা মহল্লার বাসিন্দা মির্জা মেহেদি হাসানের কাছে গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় অভিযুক্তরা মেহেদি হাসানের পৈত্রিক জমিতে থাকা ২০টি দোকান ও ৫০টি গোডাউন জবর দখল করে নেন। সেইসঙ্গে ওই সব দোকান গোডাউনের ভাড়া না তুলতে বাদীকে হত্যার হুমকি দেন। ২০১৪ সাল থেকে বিগত ১০ বছর ধরে অভিযুক্তরা হুমকি ধামকি দিয়ে ভাড়ার টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন। এ বিষয়ে একাধিকবার থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতে গেলে তারা কোনো অভিযোগ এমনকি জিডি পর্যন্ত গ্রহণ করেনি। এতে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মেহেদী হাসানের গত ১০ বছরে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।  

এ বিষয়ে মামলার বাদী মির্জা মেহেদী হাসান বলেন, ২০১৪ সাল থেকে মামলা করতে বা জিডি করতে অনেকবার বেড়া মডেল থানায় গেলেও পুলিশ তাদের ক্ষমতার প্রভাবে কখনও আমাদের কোনো অভিযোগ বা মামলা গ্রহণ করেনি। দেশের পট পরিবর্তনের পর টুকু, তার ভাই বাতেন ও ছেলে রঞ্জন পলাতক থাকলেও, তাদের অন্য সহযোগীরা এখনও দখল বাণিজ্য করে চলেছে। থানার ওসি, ইউএনও, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সবার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে আমার জমি ও সম্পদ দখলের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আশা করছি ন্যায়বিচার পাবো।

এই মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক ডেপুটি স্পিকার বৃশালিখা গ্রামের অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, তার ভাই সাবেক বেড়া পৌরসভার মেয়র আব্দুল বাতেন, টুকুর ছেলে সাবেক বেড়া পৌরসভার মেয়র এস এম আসিফ শামস রঞ্জন, বেড়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, হজরত আলী সরকারের ছেলে মো. আব্দুল হালিম, আজহার প্রামাণিকের ছেলে মো. আলতাফ হোসেন, রোস্তম প্রামাণিকের ছেলে আবু হানিফ, মো. আব্দুল আওয়াল প্রামাণিকের ছেলে মো. আশরাফ প্রামাণিক, তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো. শাহজান আলী ইউনুস, আলী মোল্লার ছেলে মো. আলহাজ মোল্লা, শুকুর আলী সরদারের ছেলে মো. আব্দুস ছাত্তার সরদার।  

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।