ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নে সরকারকে আরো সক্রিয় হতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৪
সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নে সরকারকে আরো সক্রিয় হতে হবে

ঢাকা: বাংলাদেশ সরকারকে রোডক্র্যাশে মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা কমাতে এবং সড়ক নিরাপত্তার জন্য জাতিসংঘের বৈশ্বিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়ে জাতিসংঘের সুপারিশকৃত সেইফ সিস্টেম এপ্রোচের আলোকে একটি ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়ন করতে হবে। আর এর জন্য সরকারকে আরো সক্রিয় হতে হবে বলে এমন মন্তব্য করেন আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিংয়ের সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিংয়ের আয়োজনে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে নিরাপদ সড়ক জোরদারকরণে ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়ন শীর্ষক গনমাধ্যমের সাথে তরুণ সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকারী মারজানা মুনতাহা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে ব্যাপকভিত্তিক কার্যক্রম পরিলক্ষিত হলেও বাংলাদেশে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়টি তুলনামূলকভাবে অনেক পিছিয়ে। ২০১৮ সালের আইন ও ২০২২ সালে সড়ক পরিবহন বিধিমালা জারি হলেও সড়ক নিরাপত্তার আচরণগত ঝুঁকির বিষয়গুলি সংক্ষিপ্ত আকারে উল্লেখ থাকায় সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে জটিলতা সৃষ্টি হয়।

একটি সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সদস্য সচিব তানজীদ মোহাম্মদ সোহরাব রেজা বলেন নিরাপদ সড়ক সকলের মৌলিক অধিকার। আর সেই মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। সরকার যাতে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে সে জন্য তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।

এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউট বুয়েটের সহকারি অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ বলেন, সড়ক ব্যবহারকারী বিশেষ করে, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক, গাড়ি চালক, মোটরসাইকেল ব্যবহারকারী তাদেরকে বিভিন্ন প্রশিক্ষন প্রদানের মাধ্যমে নিরাপদে সড়ক ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। পাশাপাশি প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ সড়ক সংক্রান্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা।

ইয়ুথ ফোরমের সদস্য পারিশা মাহেসারিন এশার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটির প্রথমপর্বে ইয়ুথ ওরিয়েন্টেশন, ২য় পর্বে গণমাধ্যমের সাথে তরুণ সংলাপ এবং শেষ পর্বে জনেসচেতনতা তৈরিতে তরুণ পদযাত্রা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ, প্রকল্প সমন্বয়কারি শারমিন রহমন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা,অক্টোবর ৩১, ২০২৪
এমএমআই/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।