ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ও জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সুজনের সুপারিশমালা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৪
সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ও জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সুজনের সুপারিশমালা

রাজশাহী: সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিসহ সংস্কার কমিশনের কাছে জন-আকাঙ্ক্ষাভিত্তিক সুপারিশমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।  

শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে বেসরকারি এ গবেষণা সংস্থাটির রাজশাহী জেলা কমিটি সংবাদ সম্মেলন করেছে।

এতে সংস্থার পক্ষ থেকে তারা বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) রাজশাহী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম মাসুদ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় সুজনের রাজশাহী জেলা কমিটির সভাপতি সফিউদ্দীন আহমেদের উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলন থেকে সংস্কার কমিশনসমূহের কাছে তাদের প্রত্যাশা হচ্ছে- সুপারিশমালায় যেন জন-আকাঙ্ক্ষাগুলো গুরুত্ব পায়। তাই সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে তাদের পক্ষে বিভিন্ন সুপারিশমালা তুলে ধরা হয়।

এতে বলা হয়, দেশের নির্বাচনব্যবস্থা প্রায় ধ্বংসের মুখোমুখি। গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে এ ব্যবস্থাকে পরিশুদ্ধকরণের কোনো বিকল্প নেই। আর এর অগ্রাধিকারগুলো হতে পারে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন বাতিল করে, নতুন করে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন প্রণয়ন, নিয়োগ আইনে অনুসন্ধান কমিটিতে সরকারি ও বিরোধী দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে সৎ, যোগ্য, নিরপেক্ষ ও সাহসী ব্যক্তিদের স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ দেওয়া, নির্বাচন কমিশনের আওতাভুক্ত সব জনবল নিয়োগের ক্ষমতা কমিশনের ওপর ন্যস্ত করা। প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের সুষ্ঠুতার লক্ষ্যে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের প্রস্তাব করার জন্য সংবিধান সংস্কার কমিটিকে আহ্বান জানানো। সংবিধান সংস্কার কমিটি, যেন এক-তৃতীয়াংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণসহ আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক নির্বাচন পদ্ধতিও প্রবর্তনের সুপারিশ করে, সেই ব্যাপারে তাদের প্রতি আহ্বান জানানো।

তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- তৃতীয়াংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণসহ আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক নির্বাচন ব্যবস্থা প্রবর্তন। উচ্চকক্ষের জন্য নির্বাচন পদ্ধতি নির্ধারণসহ দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠা এবং উচ্চকক্ষকে পেশাভিত্তিক পার্লামেন্টের রূপ দেওয়া। এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুবার প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না এমন বাধ্যবাধকতা (টার্ম লিমিট) সৃষ্টি। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সংস্কার করা এবং সংবিধানকে প্রকৃত অর্থেই অসাম্প্রদায়িক বৈশিষ্ট্যের সংবিধানে পরিণত করা। জনপ্রশাসনকে সদপূর্ণরূণে দলীয়করণমুক্ত করা। জনপ্রশাসনকে রাষ্ট্রের কাছে দায়বদ্ধ করা, শাবলিক সার্ভিস কমিশনকে দলীয়করণমুক্ত করা এবং মেধাকে প্রাধান্য দিয়ে সব ধরনের নিয়োগ স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করা। বিচারপতিদের নিয়োগের জন্য আইন প্রণয়ন, আইনের ভিত্তিতে সৎ, দক্ষ, যোগ্য ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া। বিচার বিভাগের আওতায় পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব বলয় থেকে বিচার বিভাগকে মুক্ত করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৪
এসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।