ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে আন্তর্জাতিক আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারবেন বাদী-বিবাদীরা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২৪
ট্রাইব্যুনালে আন্তর্জাতিক আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারবেন বাদী-বিবাদীরা

ঢাকা: সংশোধিত ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’ অধ্যাদেশে বাদী-বিবাদীদের জন্য আন্তর্জাতিক আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে।

বুধবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এ কথা জানান।

এদিন দুপুরে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের ত্রয়োদশ বৈঠকে ‘আন্তর্জাতিক ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল) (অ্যামেন্টমেন্ট) অর্ডিন্যান্স, ২০২৪’ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, আসামি পক্ষ বা ডিফেন্স ফোর্স যে কেউ চাইলে আন্তর্জাতিক আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারবেন। এই আইনের নতুন একটি চমৎকার বিধান হয়েছে যে, পর্যবেক্ষক নিয়োগের বিধানের স্পষ্ট করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বা দেশি যে কোনো মানবাধিকার সংগঠন, যে কেউ চাইলে এই বিচারকাজ পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। বিচারকাজ শুদ্ধ হচ্ছে কি না, সঠিকভাবে হচ্ছে কি না, তা উপস্থিত থেকে মনিটরিং করতে পারবেন।

আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, নতুন আইনে ট্রাইব্যুনাল ইচ্ছে করলে (বাধ্যতামূলক না) বিচারকাজ অডিও ভিজ্যুয়াল রেকর্ড করে প্রচার করতে পারবেন। ওনারা যদি মনে করেন, এটা প্রচার করা দরকার তাহলে যে কোনো অংশ প্রচার করতে পারবেন। তবে যে পক্ষগুলো আছে ডিগনিটি, পাইভেসি ও অধিকার; সেগুলোতে নজর রেখে সেটা করা হবে।

তিনি বলেন, আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ সরাসরি সম্প্রচার নয়, রেকর্ড করে প্রচার করা যাবে।

আইন উপদেষ্টা বলেন, বিচারটি যেন আন্তর্জাতিক মানের হয়, সেজন্য দেশি বিদেশি আইনজ্ঞ ও সাধারণ মানুষের মতামত নিয়েই সংশোধন করা হয়েছে। এ্ই আইনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সবার সমান সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ১৯৭৩ সালের আইনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখবেন, নতুন আইনে অভিযুক্তদের বেশি সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যেকোনো পক্ষ চাইলে তারা সাক্ষ্য আনতে পারবেন। সাক্ষ্যের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবেন।

আসিফ নজরুল বলেন, আইনের ভিকটিমের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। যারা সাক্ষী দিতে বা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেবেন বা যে কোনো উপায়ে সাক্ষী দিতে আসবেন; সবার নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই আইনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের কম্পেনসেশন বিধান করা হয়েছে।

আইন উপদেষ্টা জানান, এই আইনে তিন বাহিনীকে বিচারের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২৪
এমইউএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।