ঢাকা: সংবিধানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্যের প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছেন ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত সিক্স সিজনস হোটেলে সেন্টার ফর গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কার বিষয়ক আলোচনা সভার দ্বিতীয় পর্বে তিনি এ কথা বলেন।
আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন প্রফেসর ড. লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, জানিপপ চেয়ারম্যান ইকতেদার আহমেদ, সাবেক জজ ও কলামিস্ট প্রফেসর ড. নুরুল আমিন বেপারী, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, এবিপার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সাংবাদিক মাসুদ কামাল প্রমুখ।
ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী তার আলোচনায় বলেন, সংবিধান এমনভাবে সংশোধন করতে হবে যাতে করে রাষ্ট্রযন্ত্র অচল না হয় এবং সংবিধানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্যের প্রয়োজন।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা উল্লেখ করেন, নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হলে সংবিধান বুঝে পড়তে হবে।
সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল মন্তব্য করেন, ১৯৭২ এর সংবিধান বাতিল করলে বাংলাদেশের স্বকীয়তা থাকবে না।
প্রফেসর ড. লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তাড়াহুড়ো করে সংবিধান চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ১৯৭২ এর সংবিধান বদলাতে হবে এবং জাতির গোড়ায় যে ভুল হয়েছে তা সংশোধন করতে হবে।
ইকতেদার আহমেদ বলেন, সংবিধানের তিনটি বাদে বাকি সংশোধনগুলো দলীয় স্বার্থে করা হয়েছে।
প্রফেসর ড. নুরুল আমিন বেপারী বর্তমান সরকারের বিপ্লবী বৈধতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ডিরেক্টর প্রফেসর ড. মো. শরিফুল আলম।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
আরকেআর/আরআইএস