রাশিয়ার নতুন পারমাণবিক ‘ডকট্রিন’ বা পারমাণবিক বোমা ‘ব্যবহার নীতি’ পশ্চিমা দেশগুলোকে ভালোভাবে পড়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি সের্গেই শোইগু।
এই ডকট্রিন সাধারণত রাশিয়া ‘কোন পরিস্থিতিতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে’ তা নির্ধারণ করে।
গত সপ্তাহে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার পারমাণবিক ডকট্রিনে নতুন সংস্করণ অনুমোদন করেছেন। যেখানে পূর্বের বাধ্যবাধকতার সীমা কমিয়ে আরও কিছু নতুন বিষয় যোগ করা হয়েছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে শোইগু বলেন, রাশিয়ার ‘পারমাণবিক ছাউনি’ তার প্রধান মিত্রদের জন্য প্রসারিত করা হয়েছে। এখন থেকে কালেকটিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশন (সিএসটিও)-এর সদস্যরা এর আওতাভুক্ত হবে। রাশিয়াও এই আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা গ্রুপের সদস্য। নতুন ডকট্রিনটিতে একটি স্পষ্ট ধারা রয়েছে যা রাশিয়ার মতো বেলারুশের সুরক্ষায়ও অপারমাণবিক হামলার বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই ডকট্রিনটি স্পষ্ট, বোধগম্য এবং স্বচ্ছ। আমরা আমাদের পশ্চিমা বন্ধুদেরকে; যা নেই তা না বানিয়ে অথবা কিছু অংশ বেছে না নিয়ে, পুরোটি শান্তভাবে পড়ার জন্য অনুরোধ করছি।
আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা গ্রুপ সিএসটিওতে রয়েছে আর্মেনিয়া, বেলারুশ, কিরগিজস্তান, রাশিয়া এবং তাজিকিস্তান। কাজাখস্তান বর্তমানে গ্রুপটির সভাপতি।
এর আগে রাশিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অঞ্চলে পশ্চিমাদের দেওয়া দূরপাল্লার মিসাইল হামালার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য অনুমতি দেওয়ার পর গত সেপ্টেম্বরে রাশিয়া তার পারমাণবিক নীতিতে সর্বশেষ পরিবর্তন এনেছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৪
এমএম