ঢাকা: ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশু সন্তানসহ দম্পতি দগ্ধের ঘটনায় জাহাঙ্গীর কবির (৩৪) মারা গেছেন।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
সোমবার (২৪ ফেরুয়ারি) সকালে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান।
তিনি জানান, জাহাঙ্গীরের শ্বাসনালিসহ শরীরের ৯১ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আশঙ্কাজনক হওয়ায় কালই তাকে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়েছিল। তবে মধ্য রাতে তিনি মারা যান।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় জাহাঙ্গীরের স্ত্রী বিউটি পারভিন (২৮) ৩৩ শতাংশ ও মেয়ে তাসফিয়া জান্নাত তাহা (৭) ৮০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। তাদের শ্বাসনালিও পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এরআগে, রোববার সকাল ৬টার দিকে আশুলিয়ার জিরাবো চালাবাজার এলাকায় সোহাগ মণ্ডলের বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ জাহাঙ্গীরের সহকর্মী হাসিব মাহমুদ জানান, জাহাঙ্গীর জিরাবোতে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সিনিয়র অপারেটর। তার স্ত্রী স্থানীয় জুতা, ব্যাগ তৈরি কারখানায় চাকরি করেন। আর তাদের একমাত্র মেয়ে তাহা একটি মাদরাসায় পড়ে।
তিনি জানান, তিনতলা বাড়িটির নিচ তলায় ভাড়া থাকেন পরিবারটি। সহকর্মী হাসিবও পাশের বাসায় থাকেন। রোববার সকাল ৬টার দিকে একটি বিকট শব্দ শুনতে পান তিনি। এরপর জাহাঙ্গীরের বাসা থেকে কান্না, চিৎকার শুনতে পান। দৌড়ে গিয়ে দেখেন, জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী শরীর ঝলসানো অবস্থায় বাসার বাইরে দাঁড়িয়ে ছটফট করছে। তার শিশুটিকে এরআগেই স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তখন এ দম্পতিকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে পরিবারটির ৩ জনকেই ঢাকায় নিয়ে আসেন।
পরিবারটির বরাত দিয়ে তিনি জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে বিউটি বাথরুমে যান। আর জাহাঙ্গীর গরম পানি বা নাস্তার জন্য রান্না ঘরে গিয়ে চুলা জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে। তাদের ধারণা গ্যাসের চুলা থেকে রাতে লিকেজের কারণে সারা ঘরে গ্যাস ছড়িয়ে পড়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫
এজেডএস/জেএইচ