সাভার, (ঢাকা): দেশে শান্তিশৃঙ্খলা আনতে ধৈর্য ধরে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাভার সেনানিবাসের ফায়ারিং রেঞ্জে সেনাবাহিনীর বার্ষিক ফায়ারিং প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, একজন সেনা সদস্যের পেশাগত উৎকর্ষ অর্জনে ফায়ারিংয়ের দক্ষতা অত্যন্ত জরুরি। এটা মৌলিক প্রশিক্ষণের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রতিবছর এই প্রতিযোগিতা সেনা সদস্যদের কাঙ্ক্ষিত মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত আছি এখন, ইন অ্যাক্ট টু সিভিল পাওয়ারের কাজে, দেশের স্বার্থ শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে আমরা ব্যস্ত । দেশ ও জাতির জন্য এ কাজটা আমাদের করে যেতে হবে। আমরা মনে করেছিলাম খুব তাড়াতাড়ি এ কাজটা শেষ করে সেনানিবাসে ফেরত আসতে পারবো। কিন্তু কাজটা দীর্ঘায়িত হচ্ছে, আমি জানি যে, আমরা বহুদিন ধরে কাজটা করে যাচ্ছি। ধৈর্য ধরতে হবে, প্রফেশনালিজমের মাধ্যমে, পেশাদারিত্বের মাধ্যমে কাজটা করে যেতে হবে। দেশ ও জাতীর জন্য সেনাবাহিনীর এই সার্ভিসটা গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং দেশ ও জাতির জন্য আমাদের কাজ করে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যত দিন না আমরা একটা নির্বাচিত সরকার পেয়ে যাই এবং যত দিন না দেশ একটা শান্তিশৃঙ্খলার মধ্যে আসে তত দিন ধৈর্যের সাথে কাজটা করে যেতে হবে। ডেভেলপমেন্ট থাকার সময় উশৃঙ্খল কাজগুলো করা যাবে না
এদিকে আমাদের নজর রাখতে হবে। কোন ধরনের উশৃঙ্খলা বা বলপ্রয়োগ করা যাবে না। মাঝে মাঝে এই কাজগুলো করতে গিয়ে কিছু বলপ্রয়োগ হয়ে যায়। বলপ্রয়োগ করলেও প্রফেশনাল বলপ্রয়োগ করতে হবে। যত কম বলপ্রয়োগ করা যায় ততই ভালো। আমরা যদি সবাই কাজ করতে পারি দেশের শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারবো।
সেনাপ্রধান ফায়ারিং প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ তিন ফায়ারকে সেনাবাহিনীর শ্রেষ্ঠ ফায়ারিং পুরস্কার প্রদান করেন। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় ৩৩ পদাতিক ডিভিশন আর অরানার্সআপ হয়েছে ৭ পদাতিক ডিভিশন।
অনুষ্ঠানে ৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মঈন খানসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পুরস্কার বিতরণ শেষে সেনা সদস্যদের উৎসাহ জোগাতে সেনাপ্রধান নিজেও ফায়ারিংয়ে অংশ নেন।
এ সময় নির্দিষ্ট টার্গেটে করে কয়েক রাউন্ড ফায়ার করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫
এএটি