ঢাকা, রবিবার, ২ চৈত্র ১৪৩১, ১৬ মার্চ ২০২৫, ১৫ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

আকাঙ্ক্ষা আর বাস্তবতার মধ্যে অনেক ফারাক: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৫
আকাঙ্ক্ষা আর বাস্তবতার মধ্যে অনেক ফারাক: গণশিক্ষা উপদেষ্টা অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারসহ অন্যরা।

বরিশাল: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, আমাদের আকাঙ্ক্ষা আর বাস্তবতার মধ্যে অনেক ফারাক রয়ে গেছে। আমাদের বর্তমান লক্ষ্য শিক্ষার মান উন্নয়ন করা।

সেই সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়েও আমরা কাজ করবো। তবে প্রধান লক্ষ্য শিক্ষার মান উন্নয়ন। এছাড়া যে-সব বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু আছে তাদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রোববার (১৬ মার্চ) সকালে বরিশাল নগরের সাগরদী এলাকার পিটিআইতে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বরিশালের স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব বলেন।  

অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন দৃশ্যমান। যে-সব বিদ্যালয় ২ সিফট চালু আছে সেখানে ১ শিফটে চালানোর চেষ্টা করা হবে। এছাড়া শূন্যপদগুলো পূরণ দ্রুত চেষ্টা করা হবে। প্রাইমারি স্কুলগুলোতে ঠিকমতো পড়াশোনা হচ্ছে না এ কথাটা সত্য নয়। আমাদের অনেক স্কুল আছে যেখানে ভর্তির জন্য তদবির চলে। আমাদের যে অবকাঠামো আছে তা দিয়েই প্রাথমিক বিদ্যালয় চালানো সম্ভব। তবে অনেক স্কুলে কেন মানসম্মত পড়াশোনা হচ্ছে না সেটি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি মানোন্নয়ন করার চেষ্টা করা হবে। সব সমস্যার সমাধান করে বিদ্যালয়ের মান উন্নয়ন করতে পারি। পাশাপাশি প্রজেক্টের নামে যেন টাকা নষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।  

তিনি আরও বলেন, পিটিআইতে যে-সব সুযোগ সুবিধা আছে তা দিয়েই আমরা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে পারবো। অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট বরাদ্দ থাকলেও নানা কারণে আমরা কাঙ্ক্ষিত নির্মাণকাজ পাচ্ছি না। ফলে আমরা উন্নয়নকাজ যারা করে তাদের প্রসার ঘটাবো। প্রশাসনের সবাইকে অনুরোধ করবো যখন স্কুল খোলা থাকে তখন যেন শিক্ষকদের অন্য কাজে কম নিয়োগ করা হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে ১৩ থেকে ১৪ রকম প্রাথমিক শিক্ষা চালু আছে দেশে। আমি চাইলেও সেটা বন্ধ করতে পারবো না। আমরা প্রাইমারি স্কুলে পড়াশোনা করে আজ এ পর্যন্ত এসেছি। তবে কেন আজ এমন অবস্থা। যাদের সামর্থ্য আছে তারা অলটারনেটিভ অপশন খুঁজে নিয়েছে।  

সভায় বিভাগের ৫ জেলার প্রশাসক ও শিক্ষা প্রকৌশলীরা ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। পাশাপাশি লোকবল সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যার কথাও তুলে ধরেন বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা।  

বরিশালের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নুর মো. শামসুজ্জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (পলিসি ও অপারেশন) মোহাম্মদ কামরুল হাসান, বরিশাল প্রাথমিক শিক্ষার বিভাগীয় উপ-পরিচালক নিলুফা ইয়াসমিনসহ বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নুর মো. শামসুজ্জামান বলেন, কোনো প্রক্সি শিক্ষক থাকবে না, আর এ বিষয়টি ভবিষ্যতে মেনেও নেওয়া হবে না। এ ধরনের কোনো বিষয় সামনে এলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

পরে বরিশাল মহানগরের ৩০০ প্রধান শিক্ষক ও প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্তাদের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষার ‍উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৫
এমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।