ঢাকা: রাজধানীর খিলগাঁও, হাতিরঝিল ও মুগদা এলাকার চার কিশোরীসহ পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। তাদের ধর্ষণ করা হয়েছে অভিযোগ তুলে আলাদাভাবে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ঢামেক হাসপাতালের ওসিসির সমন্বয়ক ডা. সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ঢাকার পৃথক থানার পাঁচজন ভিকটিমকে ওসিসিতে ভর্তি করার জন্য নিয়ে আসে পুলিশ। তাদের চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে। এই পাঁচজনের ফরেনসিক পরীক্ষা আগামী শনিবার (২২ মার্চ) করা হবে।
খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইলিয়াস মাহমুদ জানান, বেশ কয়েকদিন আগে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ করা হয়। এরকম অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) পরিবারের তরফ থেকে একটা মামলা করা হয়। এই মামলার পরিপেক্ষিতে গতকাল ওই কিশোরীকে খিলগাঁও ত্রিমোহনী এলাকার একটি বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। মামলার আসামি আলিফকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
হাতিরঝিল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাজু জানান, গতকাল ২২ বছরে এক তরুণী ধর্ষণের অভিযোগে থানায় একটি মামলা করেন। সে মামলায় আসামিকে ধরার জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। আসামির নাম আপাতত প্রকাশ করতে চাচ্ছি না। আসামি ওই যুবতীর পূর্ব পরিচিত। বিয়ের আশ্বাস দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন বলে তরুণীর অভিযোগ। মামলার এজাহারে এরকমই কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আসামিকে ধরতে পুলিশ কাজ করছে।
এদিকে মুগদা থানা তিন কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে পৃথক মামলা হয়েছে। তিন কিশোরীর বয়স হবে ১২-১৩-১৫ বছর।
মুগদা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল আমিন জানান, ১২ ও ১৩ বছরের দুই কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় আলাদা মামলা হয়েছে। এই ঘটনায় পৃথক দুই ধর্ষক জব্বার (৪০) ও পিন্টু চন্দ্র দাস (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগ অনুসারে, ১২ বছরের কিশোরীকে গতকাল বুধবার ইফতারের সময় জব্বার ভিকটিমের বাসায় তাকে ধর্ষণ করেন। আর ১৩ বছরের কিশোরীকে গত ১৮ মার্চ বাসার ছাদে ধর্ষণ করেন পিন্টু চন্দ্র দাস। এই ঘটনায় আলাদা মামলা হয়।
এদিকে মুগদা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তৌহিদুল ইসলাম জানান, গত ১৮ মার্চ ১৫ বছরের এক কিশোরী নিজ বাসায় ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ মিলেছে। এই ঘটনায় মামলার পর সিয়াম আহমেদ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৫
এজেডএস/এমএম