ঢাকা, রবিবার, ৯ চৈত্র ১৪৩১, ২৩ মার্চ ২০২৫, ২২ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

বিটিআরসির নতুন লাইসেন্সিং নীতিমালা নিয়ে খুলনায় সভা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৫
বিটিআরসির নতুন লাইসেন্সিং নীতিমালা নিয়ে খুলনায় সভা অলোচনা সভায় অতিথিরা।

খুলনা: বিটিআরসির নতুন লাইসেন্সিং নীতিমালা নিয়ে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) খুলনা বিভাগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে আয়োজিত এ সভায় নতুন লাইসেন্সিং কাঠামোতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও দেশীয় বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সুরক্ষিত করার জন্য ৮ দফা দাবি জানানো হয়।

সভায় জানানো হয়, খুলনাসহ বিভাগের ১০ জেলায় স্থানীয় পর্যায়ে ১২৫টি ও জাতীয় পর্যায়ের আরও প্রায় ৩০টি ব্রডব্যান্ড সার্ভিস প্রোভাইডার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারা প্রায় ২ লাখ গ্রাহককে ইন্টারনেট সার্ভিস দিয়ে আসছে। নতুন করে বিটিআরসি যে নীতিমালা করতে যাচ্ছে তাতে তাদের দাবি অন্তর্ভুক্ত করা না হলে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সভায় বক্তারা বিদ্যমান চার স্তর বিশিষ্ট লাইসেন্সিং কাঠামো (জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা, থানা) বজায় রাখা এবং সরাসরি লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- আইএসপিএবির পরিচালক সাব্বির আহমেদ, আইএসপিএবির খুলনা বিভাগের আহ্বায়ক মওদুদ আহমেদ, ফেরদৌস তুষার, আজিজ উদ্দিন, শরীফ আজিবুর রহমান, মো. তহিদুল ইসলাম, খুরশিদ আলম প্রমুখ।

সভায় ৮ দফা দাবি জানানো হয়। দাবির মধ্যে রয়েছে- বিদ্যমান লাইসেন্সিং কাঠামো বজায় রাখা এবং নতুন করে কোনো তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া চালু না করা। বিদ্যমান লাইসেন্সধারীদের সহজ উপায়ে লাইসেন্স আপগ্রেড বা ডাউন গ্রেড করার সুযোগ দেওয়া। ফিক্সড ব্রডব্যান্ড টেলিকম সেবা দেওয়াকারীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইপিটিএসপি (ইন্টারনেট প্রটোকল টেলিফোনি সার্ভিস প্রোভাইডার) লাইসেন্স দেওয়া। এফটিএসপিদের (ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডার) একচেটিয়া অধিকার দেওয়া, যাতে তারা তারযুক্ত (ফাইবার ক্যাবল) ও ওয়্যারলেস প্রযুক্তির মাধ্যমে সংযোগ দিতে পারে। এনটিটিএন (নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক) অপারেটরদের শুধুমাত্র এফটিএসপি-এর পয়েন্ট অব প্রেজেন্স এবং বিটিএস-এ সংযোগ সরবরাহের জন্য সীমাবদ্ধ রাখা। এফটিএসপিদের ব্যান্ডউইথ ও অ্যাকটিভ ডিভাইস শেয়ার করার অনুমতি দেওয়া, যাতে নেটওয়ার্কের দক্ষতা বাড়ে এবং রাস্তায় তারের জঞ্জাল কমে। ফিক্সড টেলিকম অপারেটরদের আইপিটিভি, ওটিটি ও আইপিভিত্তিক অন্যান্য সেবা চালু করার অনুমতি দেওয়া। নীতি সহায়তা দেওয়া যাতে কোয়ালিটি অব সার্ভিস বাড়াতে পারে।

সভায় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু বিচার দাবি করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৫
এমআরএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।