ঢাকা: রাজধানীর তুরাগে রাইদা বাস ডিপোর মালিক আনোয়ার হোসেন সিকদারকে (৫৩) হত্যার পর মাটি চাপা দিয়ে মরদেহ গুম করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বাস কেনাবেচা নিয়ে লেনদেনসংক্রান্ত বিরোধ থেকেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে জানানো হয়।
সোমবার (২৬ মে) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মহিদুল ইসলাম জানান, রোববার আশুলিয়া ও দিয়াবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যায় ব্যবহৃত একটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিসি জানান, গত ১৭ জানুয়ারি সকাল ৯টার দিকে আনোয়ার হোসেন ডিপোর উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। পরদিন স্ত্রী শিউলি আক্তার তুরাগ থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন।
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ব্যবসায়িক বিরোধের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করে অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তারদের তথ্যে ডিপোর ভেতরে টিনের বেড়ার পাশে মাটি খুঁড়ে আনোয়ারের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানায়, তারা সবাই রাইদা বাসের চালক ছিলেন। ১৭ জানুয়ারি সকাল ১১টার দিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তারা আনোয়ারকে প্রথমে লোহার পাইপ দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং পরে ছুরি দিয়ে গলায় আঘাত করে হত্যা করে। এরপর মরদেহ ডিপোর মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শিউলি আক্তার বাদী হয়ে তিনজনসহ আরও ৫–৬ জনের বিরুদ্ধে তুরাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। পলাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
এসসি/আরএইচ