কুমিল্লার মুরাদনগরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ২৫ বছর বয়সী এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ফজর আলী নামে মূল অভিযুক্তসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অভিযোগ উঠেছে, ঘটনার সময় সেটির ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ অভিযোগে মূল আসামির আগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রোববার (২৯ জুন) ভোর ৫টার দিকে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি মুরাদনগর উপজেলার বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামের পূর্বপাড়ার শহীদ মিয়ার ছেলে।
তার আগে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন ওই পাচকিত্তা গ্রামের অনিক, সুমন, রমজান ও বাবু।
পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়েছে; দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি ওঠে। এ ছাড়া ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় মূল অভিযুক্ত ফজর আলীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভুক্তভোগী ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন বলে জানা গেছে।
এমএম/এমজে